ইছামতীর এপাড়ে শুধুই শূন্যতা, করোনার গেরোয় ধুঁকছে টাকির পর্যটন ব্যবসা
করোনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে টাকির পর্যটন ব্যবসা। খাঁ খাঁ করছে সব হোটেল। ফেরি সার্ভিস বন্ধ। সুন্দর করে বাঁধানো আর সাজানো পাড় ঠিক যেন জনহীনপুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধ হোটেল। স্তব্ধ ফেরি। ইছামতীর এপাড়ে শুধুই শূন্যতা। পর্যটন হারিয়ে ধুঁকছে টাকি। জলের বুকে ছলাত্ছল। তবু মন ভাল নেই ইছামতীর। রূপের ডালি সাজিয়ে বসে আছে ইছামতী। কিন্তু পাড়ে বসে তার সঙ্গে দু'দণ্ড কথা বলবে, এমন কেউ নেই। করোনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে টাকির পর্যটন ব্যবসা। খাঁ খাঁ করছে সব হোটেল। ফেরি সার্ভিস বন্ধ। সুন্দর করে বাঁধানো আর সাজানো পাড় ঠিক যেন জনহীনপুরী।
আরও পড়ুন: নিজের রাজ্যের হাসপাতালে 'অফার', সঙ্কটের মাঝেই ফের কলকাতা ছাড়লেন ১৬৯ জন নার্স
ইছামতীর পাড়ে ছোট বড় মিলিয়ে ২৪ হোটেল। সব তালা বন্ধ। রাঁধুনি, সাফাইকর্মী থেকে নৌকার মাঝি, কারও কাজ নেই। রোজগার বন্ধ। আগে মূলত শীতকালেই পর্যটকরা টাকিতে ভিড় জমাতেন। ইদানীং সেই ছবি বদলেছে। মোটামুটি সারা বছরই পর্যটকরা টাকিতে বেড়াতে যান। পর্যটন থেকে আয়ের পথ খোলাই থাকে। কিন্তু করোনা সব ওলটপালট করে দিয়েছে। গরমের ছুটির সমস্ত বুকিং বাতিল।
অন্য বছর এই সময় পুজোর বুকিং শুরু হয় টাকিতে। এবার সেসবের বালাই নেই। গত নভেম্বরে পুজোর মরশুমি পর্যটন তছনছ করে দিয়েছিল বুলবুল। এবার লকডাউন। টাকির পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে কয়েকশো মানুষ। কত তাড়াতাড়ি সব কিছু স্বাভাবিক হবে, তার প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।