সব মায়ের সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, কালিকার কাছে প্রার্থনা শিলিগুড়ির বৃহন্নলাদের
নারায়ণ সিংহরায়: বৃহন্নলা শব্দটা শুনলেই ভাঁজ পড়ে কপালে। ট্রেনে বা পাড়ায় তথাকথিত সভ্য সমাজের লক্ষ্মণ রেখা ভেঙে ‘গায়ে পড়ে’ টাকা আদায় করেন তাঁরা। পাড়ায় কোনও বাড়িতে বাচ্চা জন্মালেই আগমন ঘটে তাঁদের। সন্তানসুখ তাঁরা কোনও দিন না পেলেও নবজাতককে পরম যত্নে কোলে নিয়ে আশীর্বাদ করতে এতটুকুও কার্পণ্য করেননা তাঁরা।
সভ্যতার আদিকাল থেকেই আমাদের সমাজে ব্রাত্য বৃহন্নলারা। সময় এগোলেও মূলধারায় এখনো সংযুক্ত করা যায়নি তাঁদের। তাই বলে ব্রাত্য বৃহন্নলারা কিন্তু ব্যর্থ নন। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পেয়েছেন বৃহন্নলরা। শুধুই মূল স্রোতে সংযুক্ত হওয়ার লড়াই নয়, আজ অধ্যাপনা থেকে সমাজসেবায় হাত দিয়েছেন তাঁরা। তাই আজ সমাজের মঙ্গল কামনায় মহাশক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন শিলিগুড়ির কিন্নররা।
পরিবার পরিজনের খোঁজ নেই। প্রায় ২০ বছর ধরে করে চলেছেন মহাশক্তির আরাধনা। কালীপুজোর আগের রাতে প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে কিন্নরদের দাস বাড়িতে। কিন্নরদের গুরুমাতা ময়না দাসের নেতৃত্বে চলছে শেষ প্রস্তুতি।
এক বৃহন্নলার কথায়, “প্রত্যকেরই আলাদা একটা ধর্ম রয়েছে। সেই ধর্ম আমরা মেনে চলি। আমাদের ও ধর্ম রয়েছে সেই ধর্মেকে অবলম্বন করে আমরা কালীপুজো করে থাকি। তবে নিজেদের জন্য নয় যারা কাজ থেকে প্রতিদিন আমরা হাত পেতে টাকা নিয়ে থাকি। বিয়েতে বা বাচ্চা হলে যাদের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসি। সেই টাকা দিয়ে আমরা এই পুজো করে থাকি। যাতে তাদের বাচ্চারা সুখে থাকে।”