‘শীঘ্রই শেষ হবে তৃণমূল জমানা, ২০১৯-এ বিজেপি-ই হবে এক নম্বর দল’

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করবে আমাদের কর্মীরা

Updated By: Jun 28, 2018, 05:33 PM IST
‘শীঘ্রই শেষ হবে তৃণমূল জমানা, ২০১৯-এ বিজেপি-ই হবে এক নম্বর দল’
নিজস্ব প্রতিবেদন: আভাস আগেই মিলেছিল। সফরের দ্বিতীয় দিন পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই অনুমানকেই সত্য প্রমাণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিনের সভা থেকে কার্যত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ঢাক পেটালেন মোদীর সেনাপতি। তবে শুধু লোকসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েই যে গেরুয়া শিবির থামবে না, বরং তাদের আসল লক্ষ্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা, তা এদিন স্পষ্ট করেদেন শাহ। তাঁর কাথায়, পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলই বলে দিচ্ছে যে এ রাজ্যে আগামী দিন শুধুই বিজেপির।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের শিমুলিয়া ফুটবল ময়দানের মঞ্চে প্রথম পনেরো মিনিটের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল সরকারকে উত্খাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ। বিজেপির চাণক্য এদিন বলেন,‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জনসমর্থন দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপি। আর যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনেই ভারতীয় জনতা পার্টি এত ভালো ফল করতে পারে, তবে আমি নিশ্চিত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করবে আমাদের কর্মীরা।’’ 
 
বেলা পৌনে চারটে। সূর্য বেশ কিছুটাই পশ্চিমে হেলেছে। রোদ পড়লেও বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বিকালে উত্তাপ ছিল রীতিমতো বেশি। পুরুলিয়া শহরের শিমুলিয়া ফুটবল ময়দানের প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ পা রাখেন অমিত শাহ। তাঁকে দেখা মাত্র ‘মোদী মোদী রব’ওঠে। ভাবটা যেন, পঞ্চায়েত‘পরীক্ষা’য় ভালো ফল করায় এতদিনে ‘পুরস্কার’ মিলল। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর কদমে লড়াই শুরু করার বার্তা দিতেই যে মোদী তাঁর প্রধান সেনাপতিকে এখানে পাঠিয়েছেন, তা জানা আছে পুরুলিয়ার গেরুয়াকর্মীদের। তবে বক্তব্য রাখার প্রথম কয়েক মিনিটেই যে অমিত শাহ সেই বার্তা দিয়ে দেবেন, তা হয়তো ভাবেননি কেউ। 
 
অমিত শাহ আরও বলেন,‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল। আদালতে যাওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন। তবুও নির্বাচনের দিন ২ কোটি মানুষকে ভোটই দিতে দেয়নি তৃণমূল। আমাদের বহু কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। এরপরও বাংলার বহু গ্রাম পঞ্চায়েতে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা উড়েছে। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটাই তৃণমূলকে সবচেয়ে বড় বার্তা। শাসকদলকে পদচ্যুত করতে তারাপীঠে পুজো দিয়েছি।’’
 
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকাতেই গেরুয়া শিবিরের 'বাড়বাড়ন্ত' ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার নির্বাচনের পর এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি বিজেপি আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। জগন্নাথ টুডু, ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার নামে তিন জনকে (যাঁদের বিজেপি নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে) নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সুতরাং বঙ্গ সফরে এসে এই অঞ্চল থেকেই যে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দেবেন মোদীর প্রধান সেনাপতি, তা প্রত্যাশিতই ছিল। সেই প্রত্যাশাকে জিইয়ে রেখে পুরুলিয়া থেকেই  পঞ্চিমবঙ্গ দখলের ডাক দিলেন গেরুয়া শিবিরের চাণক্য। 
 
 
 
 
 
 
 
.