Dilip Ghosh: দুটো স্ট্রোকেই বেহাল তৃণমূল, তৃতীয়টাতে দল কোমায় চলে যাবে: দিলীপ ঘোষ
অনুব্রতকে গ্রেফতার করে তার সম্পত্তির হিসেব করার চেষ্টা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রতর তেমন কোনও বড় সম্পত্তির সন্ধান পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অনুমান করা হচ্ছে অনুব্রত টাকা সম্ভবত বেনামে রয়েছে
চম্পক দত্ত: এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে পার্থ ও গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। দুই ধাক্কায় প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে জেলায় জেলায় তৃণমূল রাস্তায় নামলেও এই ধাক্কা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। এনিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ভাইপো বলছেন দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দরকার। পিসি বলছেন কেষ্ট ছাড়া চলবে না। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার শহরে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন দিলীপবাবু। সকালে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর একটি প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন ও কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন।
আরও পড়ুন-Anubrata Mandal Arrested: জানতাম মমতা পাশে দাঁড়াবেন, আইনজীবীকে বললেন আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোত্সব থেকে দেশে শুদ্ধকরণ শুরু হল। এটা চলবে। ওঁদের নেতারা এখন উত্তেজিত হয়ে মারবেন, পিটবেন বলছেন। মনে রাখবেন, খালি পায়ে জুতো না পরে, জামা কাপড় ছাড়াই দৌড়তে হতে পারে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে। মানুষে ক্ষেপে রয়েছে। কেষ্টকে রাস্তায় যেতে দেখে মানুষ কীভাবে স্বাগত জানিয়েছে তা ওদের মনে রাখা দরকার। ওদের দলে এই মুহূর্তে কে কোথায় রয়েছে? মেদিনীরপুরে তো সকাল থেকে কাউকে দেখলাম না দলের। দলীয় কার্যালয়ে পতাকা তোলার কেউ নেই। যা হয়েছে সরকারি কর্মসূচি। এখনই এই অবস্থা তৃণমূলের। মাত্র দুটো স্ট্রোক হয়েছে। প্রথম স্ট্রোক পার্থ, দ্বিতীয় স্ট্রোক কেষ্ট। তৃতীয় স্ট্রোক হলে দল কোমায় চলে যাবে।
অনুব্রতকে গ্রেফতার করে তার সম্পত্তির হিসেব করার চেষ্টা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রতর তেমন কোনও বড় সম্পত্তির সন্ধান পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অনুমান করা হচ্ছে অনুব্রত টাকা সম্ভবত বেনামে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, গোরুপাচারে মূল অভিযুক্ত এনামূলকে জেরা করে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে সিবিআআইয়ের। এমনটাই সূত্রের খবর। বিরোধীদের প্রশ্ন, সায়গল হোসেনের যদি একশো কোটির সম্পত্তি থাকে তাহলে গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের সম্পতির পরিমাণ কত?
অন্যদিকে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর প্রশ্ন উঠেছে ওই টাকা কার? কারণ ওই টাকা তাঁর নয় বলে জানিয়েছেন অর্পিতা। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল পার্থকে নিয়ে দল ততটা সরব নয় যতটা অনুব্রতকে নিয়ে। রবিবারই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্ন তুলেছেন, কেন গ্রেফতার করা হল কোষ্টকে? কী দোষ করেছিল ও? যতবার ভোট হয়েছে ততবার ওকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন। একটা ভোটেও ওকে বের হতে দেননি আপনারা। কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব হয়েছে। একতরফা সব বলা হচ্ছে। আমি মনে করি কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্ট রাস্তায় তৈরি হবে।