হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা
মিলন মণ্ডলের দাবি, তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন এমন খবর রটনা হয়েছে। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন : একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে হলদিয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা মিলন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিস। আইএনটিটিইউসি-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তিনি। মহিষাদল ও হলদিয়ার দুর্গাচক থানার পুলিস যৌথ উদ্যোগে গ্রেফতার করে মিলন মণ্ডলকে।
দলের মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে কোনওমতে বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিস। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করেন, দলের কোনও নেতা যদি কাটমানি নেন, তাহলে বরদাস্ত করবেন না তিনি। যাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠবে, তাঁকে রেয়াত করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরই জেলায় জেলায় তত্পরতা শুরু হয়ে যায়। ১ কোটি টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে বুধবার মালদার রতুয়ায় গ্রেফতার করা হয় সুকেশ যাদব নামে এক তৃণমূল নেতাকে। এরপরই আজ গ্রেফতার করা হল মিলন মণ্ডলের মতো হলদিয়ার দাপুটে নেতাকে। পুলিস সূত্রে খবর, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল সহ মহিষাদল এলাকায় বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মিলন মণ্ডলকে। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কেজি গাঁজা পাচারের অভিযোগও রয়েছে। যদিও মিলন মণ্ডলের দাবি, তিনি কিছুই জানেন না। হঠাৎ করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন এমন খবর রটনা হয়েছে। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি কিছুই জানেন না।
আরও পড়ুন, 'কাটমানি ফেরত দিন', তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস জানিয়েছেন, "মিলন মণ্ডল বিজেপির কেউ নন। বিজেপিতে আসার জন্য অনেকে যোগাযোগ করছেন। যাঁরা যাঁরা যোগাযোগ করছেন, তাঁদেরকে আটকাতেই এমন পন্থা গ্রহণ করছে তৃণমূল।" অন্যদিকে, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডার কথায়, "দলের সুপ্রিম নেত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে দুর্নীতি থাকলে পুলিস প্রশাসন আইনের কাজ করবে। মিলনের ক্ষেত্রে কী হয়েছে, তা দল দলীয়ভাবে ভাববে। প্রশাসন আইনের কাজ করবে। এবিষয়ে কারোও কিছু বলার নেই।"