Idris Ali: বিডিও-র চেয়ার বসেই এবার দলীয় বৈঠকে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক....
শিয়ে পঞ্চায়েত ভোট। সোমবার দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমা মাইতি: ল্যাপটপের স্কিনে দেখা যাচ্ছে সুব্রত বক্সিকে। বিডিও-র চেয়ারে বসেই এবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি! সঙ্গে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরাও! কেন? বিতর্ক তুঙ্গে।
শিয়ে পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করতে আসরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, সোমবার দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেন, 'আঠেরো ও তেইশের সালে পঞ্চায়েত ভোটের অনেক ফারাক। বিধায়ক ও সাংসদ বাছাইয়ের মতো করে ভোট হবে। 'যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ, তাঁদের প্রার্থী নয়'। জানান, প্রার্থী তালিকা তৈরি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।
এদিকে 'প্রত্যন্ত এলাকায় সব জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা নেই'! তাহলে? মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র চেয়ার বসেই দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি।
বিডিও-র চেয়ার বসে কেন দলীয় বৈঠক? বিধায়ক ইদ্রিস আলির সাফাই, 'প্রত্যন্ত এলাকায় সব জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা নেই। সেকারণেই করতে হয়েছে'। তাঁর দাবি, 'বিডিও-র একই ধরণের ২-৩ চেয়ার থাকে। মন্ত্রীদেরই থাকে। ব্যুরো চেয়ারম্যান একটা চেয়ার এনে দিয়েছিলেন। সেই চেয়ারে বসেই পার্টি কনফারেন্সটা করেছিলাম। কিছু কুচক্রী ছবি তুলে ভাইরাল করছে'।
ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ওয়ারশিদ খান বলেন, 'আমাকে এমএলএ সাহেব অনুরোধ করলেন, আমাদের এখান থেকে মিটিং করব। আমাদের কাছে টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেই। আপনি কী সাহায্য করতে পারবেন। মানবিকতা খাতিরেই আমার ইফিসের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। চেয়ার কিন্তু আলাদাই ছিল। ২০-২৫ মিনিট পর দেখলাম, সবাই চলে এসেছে। তখন তো আর তোলা যায় না'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'স্বয়ং প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা সরকারি খরচে তাঁর ধরনা হচ্ছে, প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক বিডিও অফিসে একটা সভা করতে পারবে না! প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই'।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'কেউ যদি বিডিও-র চেয়ারে বসে এই ধরণের কাজ করে থাকেন, সেটা একেবারেই উচিত কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। কী হয়েছে, না হয়েছে আমরা খবর নিতে বলেছি'।