Tapas Roy: 'এখন কোনও অধ্যক্ষ ছাত্রনেতাকে চড় মারলে বাড়ি ফিরতে পারবেন?', তাপস রায়ের মন্তব্যে ফের বিতর্ক

Tapas Roy: তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হলেও তাতে আমল দিতে নারাজ শাসকদল। সাংসদ শান্তনু সেন জানান, তাপস রায়ের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। যেভাবে বিশয়টা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, সেটা তৃণমূল বিধায়ক বলতে চাননি। এই সুযোগে তৃণমূলকে বিঁধতে প্রস্তুত বিরোধী শিবির। বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "কারও সময়ে বোধদয় হয়। কারও বিলম্বিত। তাপসবাবু ঠিকই বলেছেন। এখনও ভাল ছাত্র এবং শিক্ষক রয়েছেন, তবে পরিবেশটা বিষিয়ে গিয়েছে। এখন গরুপাচারকারীরা তৃণমূলের ছাত্রনেতা।"

প্রবীর চক্রবর্তী: রাজ্য়ের মন্ত্রী তাপস রায়ের (Tapas Roy) মন্তব্য় ঘিরে নতুন করে বিতর্ক। 'এখন কোনও অধ্যক্ষ কোনও ছাত্রনেতাকে চড় মারলে বাড়ি ফিরতে পারবেন?' বরানগরের একটি প্রকাশ্য সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন বিধায়ক। তাঁর ইঙ্গিত কার দিকে? কাদের জন্য এমন মন্তব্য করলেন তিনি? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। 

বরানগরের একটি সভা থেকে রাজ্য়ের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, "ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় একবার আমি ব্লেজার পরতে অস্বীকার করেছিলাম। সবার সামনে আমাকে চড় মেরেছিলেন অধ্যক্ষ। এখন কোনও অধ্যক্ষ কোনও ছাত্রনেতাকে চড় মারলে বাড়ি ফিরতে পারবেন?" তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হলেও তাতে আমল দিতে নারাজ শাসকদল। সাংসদ শান্তনু সেন জানান, তাপস রায়ের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। যেভাবে বিশয়টা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, সেটা তৃণমূল বিধায়ক বলতে চাননি। এই সুযোগে তৃণমূলকে বিঁধতে প্রস্তুত বিরোধী শিবির। বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "কারও সময়ে বোধদয় হয়। কারও বিলম্বিত। তাপসবাবু ঠিকই বলেছেন। এখনও ভাল ছাত্র এবং শিক্ষক রয়েছেন, তবে পরিবেশটা বিষিয়ে গিয়েছে। এখন গরুপাচারকারীরা তৃণমূলের ছাত্রনেতা।"   

আগেই প্রকাশ্য সভা থেকে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাপস রায়। বিজের বিধায়নসভা এলাকার একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, "কতদিন দলে থাকব তা দলকে জানিয়েই দেব। আমাকে ধরে রাখা কঠিন। তবে দলকে জানানো উচিত। দলকে জানিয়ে দেব।" সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর কলকাতার এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাপস রায়ের সংঘাত চলছিল। তিনি যখন উত্তর কলকাতার সভাপতি ছিলেন তখনও তাঁর সঙ্গে ওই নেতার মতান্তর সামনে এসেছে। গোটা বিষয়টি দল জানে। তার জেরেই তাপস রায় দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।