'এটাই শেষ; এরপর একুশে জুলাইয়ে সভা হবে কালীঘাটেই'

রাহুল বলেন, দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে দেশ শাসন করার অধিকার দিয়েছে। উনি বলার কে!

Reported By: অঞ্জন রায় | Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 21, 2020, 06:54 PM IST
'এটাই শেষ; এরপর একুশে জুলাইয়ে সভা হবে কালীঘাটেই'

নিজস্ব প্রতিবেদন: কালীঘাট থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল সভা শেষ হতেই সরব হল রাজ্য বিজেপি।

শহিদ দিবসের সভা থেকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রাজ্য থেকে উত্খাত করে ঐতিহাসিক শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। মমতার সেই কথাকে একেবারেই পাত্তা দিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।

আরও পড়ুন-'মৃত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর, গুলি-বন্দুক-জেলকে ভয় পাই না'

সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল বলেন, বাঁচার আকুতি শোনা গেল মমতার গলায়। তৃণমূলের এবারের সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান্নার সভা। এটাই তৃণমূলের শেষ একুশে জুলাইয়ের সভা। এরপর সভা হবে কালীঘাটে।

বিজেপি নেতা বলেন, অমিত শাহ-র ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পাঁচ ভাগের একভাগ শ্রোতা মমতার বক্তব্য শুনেছেন। একটা জিনিস স্পষ্ট, ভাগ্যচক্রে কালীঘাটের পার্টি আবার কালীঘাটেই ফিরে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে বলছেন স্বপ্ন দেখুন। মানুষ স্বপ্নই দেখবে। স্বপ্ন কখনও সত্যি হয় না। ২০২১ সালে উনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন না। তাই প্রতি পদে পদে মিথ্যে বলে চলেছেন। তৃণমূলের উচিত করোনাকে ধন্যবাদ দেওয়া। করোনা না হলে এই সভা প্রকাশ্যে হতো। আর এত কম লোক হতো যে তৃণমূল মুখ লুকোবার জায়গা পেত না।

করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে দায়ি করেন রাহুল সিনহা। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বহুদিন আগেই চিঠি লিখেছিলাম রাজ্যে করোনা র্যানডম টেস্ট করুন। কিন্তু তখন উনি তা করেননি। এখন করছেন যখন রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থাত্ গোষ্ঠী সংক্রমণের জন্য দায়ি মমতা। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই সরকার যে কতটা ব্যর্থ তা দেখিয়ে দিয়েছে করোনা।

আরও পড়ুন-একুশে একুশ: মমতার দশ চোখা চোখা ভার্চুয়াল ডায়লগ

একুশের সভায় মমতা বলেন, গুজরাট বাংলা শাসন করবে না। এনিয়ে রাহুল বলেন, দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে দেশ শাসন করার অধিকার দিয়েছে। উনি বলার কে! বাংলাকে গুজরাট শাসন করবে না। এ রাজ্যের মানুষই শাসন করবে।
 

.