Siddiqullah Chowdhury: 'সিদ্দিকুল্লা দূর হটো'! মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই.....
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এখন ওই জেলারই মন্তেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীও।
পার্থ চৌধুরী: ভিডিয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল আগেই। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার মিছিল বেরোল তাঁরই বিধানসভা এলাকায়! স্লোগান উঠল, 'সিদ্দিকুল্লা দূর হটো'! নেপথ্যে কারা? স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই একাংশ। ঘটনাস্থল, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এখন ওই জেলারই মন্তেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীও।
মন্তেশ্বর বিধানসভার কেন্দ্রে অন্তর্গত মেমারি ২ নং ব্লকে তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল। তিনি আবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। অভিযোগ, মন্ত্রীর সঙ্গে শাসকদলের ব্লক সভাপতির বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের দলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন সিদ্দিকুল্লা। এমনকী, প্রকাশ্য জনসভায় বলেন, 'ইসলাইল যদি দল করতে চায়, তাহলে দরজা খোলা আছে। খিড়কি নয়, একটাই দরজা। কিন্তু বাইশ ধরে একটা লোক সভাপতি থাকবে, ছড়ি ঘোরাবে। সেটা হবে না'।
আরও পড়ুন: SSC Scam: হাইকোর্টের রায়ে সুনামি তৃণমূল নেতার বাড়িতে, চাকরি হারালেন ২ মেয়ে ও জামাই
কেন এমন মন্তব্য? মেমারি ২ নম্বর ব্লকে এবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিছিল বের করলেন মহম্মদ ইসলাইলের অনুগামীরা। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্লক সভাপতি অভিযোগ, 'উনি একজন পরিযায়ী নেতা। মঙ্গলকোটে খুন করে বিতাড়িত হয়েছে। এখানেও দ্বন্দ্ব লাগিয়ে খুন করতে চাইছেন। মিথ্যা কথা বলে এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছেন'। তাঁর আরও বক্তব্য, অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার অধিকার ওর নেই। সেটা জেলা সভাপতি করবেন'।
আরও পড়ুন: Bagda School: ডিএ ধর্মঘটের জেরে রবিবারও খোলা স্কুল! প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বাদানুবাদ...
এদিকে এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। দলের জেলা মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, সবাই তো তৃণমূল। কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম সব উঠে গিয়েছে। মত বিরোধ হতেই পারে। তবে, শৃঙ্খলাভঙ্গ হলে দল সেটা দেখবে'। বিজেপির জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের প্রতিক্রিয়া, 'বিধায়কই হোন বা ব্লক সভাপতি, এরা সব তোলাবাজ। নইলে একজন নেতা বলেন মন্ত্রী খুনি আর মন্ত্রী বলেন ২১ বছর ধরে কাউকে কামিয়ে খেতে দেবো না! মানুষ ওদের বয়কট করবে'।