Jalpaiguri: বিপজ্জনক ভাবে চলছে যাতায়াত, ননাই সেতুর জন্যই ধুঁকছে গোসাইরহাট ইকো পার্ক...
Jalpaiguri: বেহাল সেতুর উপর দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে চলছে যাতায়াত। হেলদোল নেই প্রশাসনের। নোনাই সেতুর কারণেই আজ ধুঁকছে গোসাইরহাট ইকো পার্ক...

প্রদ্যুত দাস: নোনাই নদীর উপর ভগ্নপ্রায় দশা নোনাই সেতুর। বেহাল সেতুর উপর দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছেন স্থানীয়রা। এই নড়বড়ে সেতুর উপর দিয়ে অবাধ যাতায়াতের কারণে দিনে দিনে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে নোনাই সেতু।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri | Gorumara: রাস্তা আগলে বাইসন, সামনাসামনি চিতাবাঘ, গরুমারার মেদলায় পরতে পরতে রোমাঞ্চ....
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি মহকুমার ঝাড়আলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনাই নদীর উপর ভগ্ন দশায় নোনাই সেতু। বেহাল সেতুর উপর দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে চলছে যাতায়াত। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে এভাবেই রয়েছে এই সেতুটি। গোসাইরহাট, খুকলুঙ, মেলা বস্তি মোট তিনটি বনবস্তির মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই নোনাই সেতুই। খুকলুঙ জঙ্গলের গোসাঁইরহাট ইকো পার্কে যেতে হলে পর্যটকদের একমাত্র ভরসা এই দুর্বল সেতু। এর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।
গোসাইরহাট ইকো পার্ক দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় বন্ধ ছিল। এবার নতুন করে নতুন রূপে বনদপ্তরের উদ্যোগে খুলতে চলেছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। পিকনিক মরসুমে বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন এই পার্কে। জঙ্গলে ঘেরা রাভা জনজাতির বস্তির মানুষেরা আবার পর্যটকদের দেখতে পাওয়ার আশায় চাতকের মতো দিন গুনছে। নতুন করে আশার আলো দেখতে বসছেন তাঁরা। কিন্তু এই নড়বড়ে সেতু কারণে গোসাইরহাট ইকো পার্ক জৌলুস হারাচ্ছে। এই বিপজ্জনক সেতু দিয়ে কোনো বড়ো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এই কারণে অনেকেই আসতে চান না এই পার্কে। এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকদেরও ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এই সেতুকে ঠিক করার জন্য একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেতু পরিদর্শন করে গিয়েছেন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক সকলেই। এমনকি ২০২৩ সালে তৎকালীন ধূপগুড়ির বিডিও পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন কিন্তু আজও তার কোনো সুরাহা হয়নি। সেতু তৈরির দাবি এখনও অধরায় থেকে গেছে। ফের আসছে বর্ষা এবং বর্ষায় নদীর জল বাড়লে সেতুর উপর দিয়ে জলের স্রোতও বইতে থাকে। এতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিগত বছরে বর্ষায় জলের তোড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয় সেতুটির। মাটি ধসে বড়ো খাদ তৈরি হয় সেতুর মুখে। এই কারণে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কোনো রকমে কাঠের মাচা বানিয়ে লাগানো হয়েছে সেতুর মুখে। যদিও পুরোনো সেতুটির রেলিং ভেঙে নেই। নিচের অংশ থেকে সিমেন্ট, বালু, পাথর সরে ভেঙে পড়ছে। এর পরেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়োসড়ো দুর্ঘটনা, দাবি স্থানীয়দের। ধূপগুড়ি হাট-বাজার থেকে শুরু করে হাসপাতাল সমস্ত জায়গায় যেতে হলে এই সেতুই ভরসা বনবস্তির বাসিন্দাদের। কিন্তু তাঁদের এই সমস্যা, দুর্ভোগের কথা কেউই ভাবেন না। এমন কী প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজ হয়। সমস্যায় ভুক্তভুগি বাসিন্দারা চান তাঁদের যাতায়াতের এই রাস্তাটি যেন নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তাঁরা চান প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ নিক।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)