জ্যোতিষ বন্ধুর কাছ থেকে গ্রহরত্ন কিনতে গিয়ে ‘অপহৃত’ মেট্রোর সুপারভাইজার!
সোনারপুরের সাহেবপাড়ার বাসিন্দা অশোক রায় মেট্রোর সুপারভাইজার। এক বন্ধুর কাছ থেকে গ্রহরত্ন কেনার জন্য তিনি ৬ জুলাই রাতে মালদহ গিয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্যোতিষী ‘বন্ধু’র কাছ থেকে গ্রহরত্ন কিনতে মালদহে গিয়েছিলেন মেট্রোর সুপারভাইজার। বন্ধুর সঙ্গে দেখা তো করতে পারলেন না উল্টে পড়ে গেলেন ‘কিডন্যাপার’দের খপ্পরে। অবশেষে স্ত্রীর বুদ্ধিতেই অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচলেন তিনি। পুলিস দুই অপহরণকারীকে মালদহ থেকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
সোনারপুরের সাহেবপাড়ার বাসিন্দা অশোক রায় মেট্রোর সুপারভাইজার। এক বন্ধুর কাছ থেকে গ্রহরত্ন কেনার জন্য তিনি ৬ জুলাই রাতে মালদহ গিয়েছিলেন। ৭ তারিখ সকালে বন্ধুকে ফোনে না পেয়ে আম কিনে বাড়ি ফেরার কথা ভাবেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও এক সহকর্মী বিশ্বজিত ওঁরাও । আম কেনার জন্য তিনি একটি গাড়িতে উঠলে তাঁকে অন্য জায়গায় নিয়ে চলে যাওয়া হয় বলে দাবি অশোক রায়ের। বাধা দিলে তাঁদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাঁকে মারধর করা বলেও অভিযোগ। পরে তাঁদের একটি জঙ্গলের মধ্যে তিনদিন রাখা হয়। ৭ তারিখ রাতে অপহরণকারীরা অশোক বাড়িতে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
'ঘর ছাড়া' করার অভিযোগ, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই FIR করলেন বিজেপি নেত্রী
ফোন যায় অশোক রায়ের স্ত্রী অর্চনা রায়ের কাছে। সোনারপুর থানার দারস্থ হন অর্চনা । পুলিশের সাহায্যে নিয়মিত কিডন্যাপারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। ১১ই জুলাই পুলিশের সঙ্গেই মালদার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শেষমেশ মুক্তিপণ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ইশারুদ্দিন শেখ ও বিল্লাল শেখ নামে দুই অভিযুক্ত। এই ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অশোক রায়কে উদ্ধার করা গেলেও দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যান তাঁর সঙ্গী বিশ্বজিত। তাঁকেও খুঁজছে পুলিস।