Watganj Murder Case: 'মেরে ভাই নে, মেরে বিবি কো মার দিয়া..', কাঁদতে কাঁদতে বলে চলেছেন দুর্গার স্বামী
দুর্গার দিদির ছেলে আরও জানায়, মুখাগ্নি করেছেন দুর্গার স্বামীই। কান্নাকাটি করতে থাকেন। বলতে থাকেন, ইয়ে কেয়া হো গেয়া, মেরে ভাই নে, মেরে বিবি কো মার দিয়া..। মৃতার দিদির ছেলে আরও জানায়, ৩১ মার্চ রাতে ধরনিধর তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন।
রণয় তিওয়ারি: ওয়াটগঞ্জ খুনের ঘটনায় মুখাগ্নি করেন মৃতার স্বামী। মেরে ভাই নে, মেরে বিবি কো মার দিয়া..। কান্নার মধ্যেই বিড় বিড় করে বলে চলে ছিলেন মৃতার স্বামী ধরনিধর সরখেল। বৃহস্পতিবার কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় মৃতা দুর্গা সরখেলের। সেখানেই স্ত্রীর দেহের পাশে বসে ছিলেন তিনি। কেঁদে কেঁদেই অনর্গল কথা বলে চলেছেন।
মৃতার দিদি রঞ্জু সাউর ছেলে জি ২৪ঘণ্টাকে জানায়, তাঁর মেসো ধরনি ধরকে শ্বশুর বাড়ি এলাকায় দেখতে পেয়ে তাঁরাই থানায় দিয়ে এসেছিলেন। সেই সময়ে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুর্গার দেহ যখন বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর স্বামী ধরনিধরকেও থানা থেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় দুর্গার।
দুর্গার দিদির ছেলে আরও জানায়, মুখাগ্নি করেছেন দুর্গার স্বামীই। কান্নাকাটি করতে থাকেন। বলতে থাকেন, ইয়ে কেয়া হো গেয়া, মেরে ভাই নে, মেরে বিবি কো মার দিয়া..। মৃতার দিদির ছেলে আরও জানায়, ৩১ মার্চ রাতে ধরনিধর তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই ছিলেন। দুর্গাকে খিদিরপুরে শ্বশুর বাড়িতে সাইকেলে করে ছেড়ে আসেন তাঁর ভাই কার্তিক সাউ। তিনি আরও বলেন যে, নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে পালিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন ধরনিধর।
এরপর সন্ধ্যের দিকে খিদিরপুরের বাড়িতে যান তিনি। দাদা নীলাঞ্জন সরখেলের প্যান্টের পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। ৫০০ টাকার মদ খান তিনি। তাঁর পকেট থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। দুর্গা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময়ে বাকি টাকা সঙ্গে করে নিয়ে যান। তবে রাতের দিকে ওর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ফোন করে দুর্গার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের জানায়, দুর্গা এখনও বাড়ি ফেরেনি। কোথায় তোমার বোন..!
মৃতার দিদির ছেলে আরও জানায়, দুর্গার ছেলে পুলিসকে জানিয়েছে, ৩১ তারিখ রাতে তাঁর মা তাকে হলুদ দিয়ে দুধ খাওয়ায়। এরপর তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে মা নেই। জেঠু নীলাঞ্জনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তোর মা রাত থেকেই বাড়ি ফেরেনি। তোর বাবাকে খুঁজতে বেড়িয়েছে। তবে ধরনিধর নির্দোষ বলছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজনরাই। আসল কালপ্রিট নীলাঞ্জন।
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2024: ভোট বড় বালাই! প্যাচপেচে গরমে রোড শো সায়নী-অনন্যার
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)