Siddiqullah Chowdhury: রাস্তা নয়, ভাগ্য খারাপের জন্যই মৃত্যু মালদহের গৃহবধূর, বিতর্কিত মন্তব্য সিদ্দিকুল্লার

 Siddiqullah Chowdhury:সিদ্দিকুল্লার ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরকম লোকরাই তো এখন তৃণমূলটাকে চালাচ্ছে। এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। চরম অসহিষ্ণু সরকার। তাদের কাছে বাস্তবতা হল বুথে লিড

Updated By: Nov 18, 2023, 07:17 PM IST
Siddiqullah Chowdhury: রাস্তা নয়, ভাগ্য খারাপের জন্যই মৃত্যু মালদহের গৃহবধূর, বিতর্কিত মন্তব্য সিদ্দিকুল্লার

পার্থ চৌধুরী: রাস্তা এতটাই খারাপ যে গ্রামে ঢুকতেই পারল না অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়েও তরুণী গৃহবধূকে খাটিয়ায় চাপিয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তার পর গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন পরিজনেরা। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। এনিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে দুষছে বিভিন্ন মহল। তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। তাদের দাবি, রাস্তা ভালো হলে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত। মালদহের বামুনগোলার মালডাঙ্গা গ্রামের ঘটনা। তবে এনিয়ে একেবারে উল্টো কথা বললেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

আরও পড়ুন- রাস্তা সরু; যেতে কষ্ট, দলীয় কর্মীকে পর পর থাপ্পড়, রুদ্রমূর্তি বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজের

মালদহের ওই ঘটনা নিয়ে আজ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হল একশোজনের মধ্যে একজনের অবস্থা যদি এরকম হয় তাহলে নিরানব্বইটাকে খারাপ বলব কেন? হাতে একটু কষ্ট হচ্ছে তাহলেকি বলব মাথা খারাপ হয়েছে? ওটা আমাদের কাছে লিখলে, বললে আমরা সারিয়ে দেব। রাস্তার জন্য মৃত্যু হয়নি। ওর ভাগ্যে ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে। এসব মিডিয়া ভাইদের কাজ। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এসব তুলে আনে।

উল্লেখ্য, মালডাঙ্গা গ্রামের বছর উনিশের গৃহবধূ মামনি রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খাটিয়ায় চাপিয়েই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বাড়িতে বছর দুয়েকের এক সন্তানও রয়েছে তরুণীর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবির। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এলাকার বিজেপি নেত্রী বিনা সরকার কীর্তনিয়া বলেন, এই বুথে রাস্তার জন্য আগেও আন্দোলন করেছেন এলাকার লোকজন। বিডিও কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই রাস্তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু, হয়নি। রাজ্য সরকার পথশ্রী করছেন কিন্তু, যদি সত্যিকারের কাজ হত তাহলে তরুণীর অকালমৃত্যু হত না।

সিদ্দিকুল্লার ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরকম লোকরাই তো এখন তৃণমূলটাকে চালাচ্ছে। এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। চরম অসহিষ্ণু সরকার। তাদের কাছে বাস্তবতা হল বুথে লিড। তাদের কাছে আর কী আশা করা যাতে পারে! এটা মানব সভ্যতার জন্য লজ্জা।

অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার যারা মন্ত্রী তারা যে কতটা সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছে এই মন্ত্রীর মন্তব্য প্রমাণিত হল। মানুষের মৃত্যুকে আজ তার নিজের গাফিলতি বলে মেনে নিতে হবে। কাল যদি কেউ মারা যায় তাহলে রাজ্য সরকার বলবে তার গাফিলতিতেই মারা গিয়েছে। রাজ্যের কিছু করার নেই। অর্থাত্ যার ভাগ্য ভালো সে বাঁচবে। আর যার ভাগ্য ভালো নয় সে বাঁচবে না। ওই মন্ত্রীর বিবেক আছে? সংবেদনশীলতা আছে? প্রশ্ন আমার এখানেই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.