WB Panchayat Election 2023: রাতভর নিখোঁজ, ফের উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়!
'বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূল জড়িত । রাজ্য পুলিসের উপর কোনও ভরসা নেই । তাই সিবিআই তদন্ত চাই। রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব। প্রয়োজন হলে আদালতে যাব।'
মনোরঞ্জন মিশ্র: ফের বিজেপির কর্মীর দেহ উদ্ধার। বিজেপি কর্মী দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম বঙ্কিম হাঁসদা । বাড়ি মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের বোরো-জারাগোড়া অঞ্চলের কেন্দডি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেঁসলা সংসদের কেন্দডি বুথের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বঙ্কিম হাঁসদা। গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকালে গ্রামের অদূরে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় বোরো থানার পুলিস। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে খুনের অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। 'বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূল জড়িত । রাজ্য পুলিসের উপর কোনও ভরসা নেই । তাই সিবিআই তদন্ত চাই। রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব। প্রয়োজন হলে আদালতে যাব।' বলছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের পানিথর এলাকায় উদ্ধার হয় বিজেপির বুথ সভাপতি দীপক সামন্তের ঝুলন্ত দেহ। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। যে ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, এটা একেবারে তৃণমূলের পুরনো কায়দা। এর আগেও পুরুলিয়াতে ২০২১-এ ভোটের পরে সংগঠিত করেছিল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। ওদিকে ভারতী ঘোষ এই ঘটনায় পুলিসকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! কাল এই ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
প্রথমে পরিবারও এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে পরে যদিও, দীপক সামন্তের মা দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে কেউ খুন করেনি। সম্পত্তিগত কারণে তাঁর বৌমার সাথেই ছেলের গন্ডগোল ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে বৌমা বাড়িতে ছিল না। ছেলের মৃত্যুর জন্য তিনি বৌমাকেই দায়ী করেন। বিজেপির বুথ সভাপতি দীপক সামন্তের দেহ উদ্ধারের পর তাঁর মা ঊষারানি সামন্তের তরফে সবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পারিবারিক বিবাদের জেরে দীপক আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন দীপকের স্ত্রী বৈশালী সামন্ত ও সুষমা সামন্ত নামে পরিবারের আরেক সদস্য।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে পুলিসের তরফে। মৃতের স্ত্রী বৈশালী সামন্তর তরফেও তার স্বামীকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সবং থানায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিসের তরফে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন পুলিস আধিকারিকরা।