মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষকদের মোবাইল সুইচ অফ করে রাখতে হবে আলমারিতে!

২০১৭ সালের মাধ্যমিকেও একটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ফি বছর মাধ্যমিকে গণ টোকাটুকির যে ট্র্যাডিশন চলে আসছে, তার জন্য প্রশ্ন ফাঁসকেই দায়ী করছেন শিক্ষা আধিকারিকরা।

Updated By: Mar 2, 2018, 04:32 PM IST
মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষকদের মোবাইল সুইচ অফ করে রাখতে হবে আলমারিতে!

নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে চরম সতর্ক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্র যাতে কোনও ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে না যায়, তার জন্য  একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নফাঁস এড়াতে শিক্ষকদের মোবাইল সুইচ অফ করে আলমারিতে রাখতে বলা হয়েছে। প্রশ্নপত্র খোলার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়।

এবছর মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই পঞ্চায়েত ভোট। দুটি বড় পরীক্ষায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, সরকারকে কোণঠাসা করার সুযোগ পেয়ে যাবে বিরোধীরা। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শিক্ষা দফতর। সামনেই মাধ্যমিক। ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে একাধিক নতুন নির্দেশ জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কড়া ব্যবস্থা
১) পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রধান শিক্ষকের ঘরে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হয়। সিল খোলার পর এতদিন প্রশ্নপত্র এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হত খামে ভরে। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল করিডরের মধ্যেও প্রশ্নপত্র খোলা খামে ভরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। বন্ধ খামে ভরেই প্রশ্নপত্র প্রধানশিক্ষকের ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যেতে হবে।

২) কিছু প্রশ্নপত্র বেঁচে গেলে শিগগিরই তা খামে ভরে সিল করে দিতে হবে।

৩) মাধ্যমিক চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রধানশিক্ষকের কাছে তাঁদের মোবাইল সুইচ অফ করে জমা রাখেন। পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মোবাইল শুধু সুইচ অফ করে জমা রাখলেই হবে না, প্রধানশিক্ষককে সমস্ত মোবাইল আলমারিতে ভরে তালা বন্ধ করে রাখতে হবে।

৪) রাজ্যের সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র খুলতে হবে একই সময়ে ১১টা ৪০ মিনিটে। ওই নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে কোথাও প্রশ্নপত্র খোলা যাবে না।

৫) এছাড়াও, অন্যান্য বারের মত এবারও পরীক্ষাকেন্দ্রে  সিসিটিভি ও পুলিসি নজরদারি থাকবে।

আরও পড়ুন, জন্মদিনে বুদ্ধদেবকে শুভেচ্ছা মমতার, পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গেল ফুল-মিষ্টি

শিক্ষা দফতরের অভিজ্ঞতা বলছে, গত কয়েক বছরে বারবার পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের মাধ্যমিকেও একটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ফি বছর মাধ্যমিকে গণ টোকাটুকির যে ট্র্যাডিশন চলে আসছে, তার জন্য প্রশ্ন ফাঁসকেই দায়ী করছেন শিক্ষা আধিকারিকরা। তাই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নফাঁস আটকাতে মরিয়া মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

.