Kaustav Bagchi: শুভবুদ্ধির উদয় না হলে বুঝতে পারবেন কীরকম জনরোষের মুখে পড়তে হয়, দলের নেতাকেই হুঁশিয়ারি কৌস্তভের
Kaustav Bagchi: কংগ্রেসের যেসব নেতা কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অক্লান্ত লড়াই পরিশ্রম করছেন, তাদের জীবনহানি হচ্ছে, গ্রামছাড়া হচ্ছেন সেই সময় চোরেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা বোধহয় দলের হিতে হচ্ছে না
প্রদ্যুত্ দাস: নিশানায় তৃণমূল নাকি খোদ দলেরই নেতা! জলপাইগুড়িতে দলের সভায় যোগ দিতে এসে দলেরই নেতা অভিষেক মনু সিংভিকে নিশানা করলেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। বাংলার মানুষ তৃণমূলকে চিনে ফেলেছে বলে তৃণমূলকেও নিশানা করেন কৌস্তভ। কিন্তু তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের নেতা অভিষেক মনু সিংভির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় রাজ্যে এলে তাঁকে কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। এনিয়ে একটি চিঠি সিংভিকে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে শিলা বৃষ্টির সতর্কতা
কেন অভিষেকের উপরে এতটাই খাপ্পা কৌস্তভ? কংগ্রেস নেতা বলেন, দলের একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি। দেশের নামকরা গুটিকল আইজীবীদের মধ্যে উনি একজন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে উনি কী মামলা করবেন। কী মামলা করবেন না সেটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্য়পার। কিন্তু দলেরও উনি একজন সিনিয়র নেতা। তাই দলের প্রতিও তাঁর দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এখান কংগ্রেসের যেসব নেতা কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অক্লান্ত লড়াই পরিশ্রম করছেন, তাদের জীবনহানি হচ্ছে, গ্রামছাড়া হচ্ছেন সেই সময় চোরেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা বোধহয় দলের হিতে হচ্ছে না। সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে ওঁকে আমরা বলেছি, আপনার এইসব কাজ কারবারে আমাদের দলের গ্রহণযোগ্যতা মাটিতে মিশে যাচ্ছে। আপনার জন্য আমরা লজ্জিত।
এানেই থেমে থাকেননি কৌস্তুভ। তিনি বলেন, ওঁর যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় তো ভালো। না হলে আশা করব উনি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পা দেবেন না। পা দিলে কংগ্রেস কর্মীদের কীরকম জনরোষের মুখে ওঁকে পড়তে তা উনি বুঝতে পারবেন। আমার কথা রাজ্যের সব কংগ্রেস কর্মীদের কথা। দেখা যাক, আশা করব ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
এদিন, জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কৌস্তভ বলেন, এই শহরের পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিজেকে জলপাইগুড়ির মালিক বলে ভাবতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার পরও শাসক দলের নেতা হওয়ার জন্য়ই তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেস যতই নিজের ইমেজ তৈরির চেষ্টা করুক, তৃণমূল কী জিনিস তা মানুষ বুঝে গিয়েছে।