শুরু কাউন্ট ডাউন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে তৈরি বাংলার ৬৬ শতাংশ গ্রাম
পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে আজ ভোটগ্রহণ ৩৮ হাজার ৫২৯ আসনে। একদিনেই ৪৮৮০০ গ্রামের ভোট হবে। যদিও ৩৪.২০ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে শাসকদল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মামলা মোকদ্দমা, আইনি লড়াই, সন্ত্রাসের অভিযোগ, বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সোমবার পঞ্চায়েত ভোটে সামিল হতে চলেছে বাংলার ৬৬ শতাংশ গ্রাম। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া, চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শেষ প্রহরে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন ভোটকর্মীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বুথের সামনে ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। মূলত ঝড়বৃষ্টির ভয় ও গরম এড়ানোর জন্যই সকাল সকাল ভোট দিতে চাইছেন ভোটদাতাদের একাংশ।
পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে আজ ভোটগ্রহণ ৩৮ হাজার ৫২৯ আসনে। এক দফাতেই ৪৮,৮০০ গ্রামের ভোট হবে। ৩৪.২০ শতাংশ আসনে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে শাসকদল। তবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত এইসব জয়ী প্রার্থীদের নাম নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা যাবে না। ৩ জুন, ই-মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলা ফের শুনবে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা থেকে ব্যালট- গ্রাম বাংলা কোথায় দাঁড়িয়ে? দেখে নিন
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে এবার মোট বুথের সংখ্যা ৫৭,৭০৭ টি। এর মধ্যে ৪৬,৬৯১ টি বুথে আজ ভোট হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন- ৪৮,৬৫০ টি। এর মধ্যে সোমবার ৩১,৭৮৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। মোট ৯,২১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে ৬,১১৯টিতে। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে মোট ৮২৫টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ৬২১ টি আসনে।
এবার এক নজরে দেখে নিন পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা...
** সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী- ৫৮৮০০
** রাজ্য পুলিস-৪৬০০০
** কলকাতা পুলিস-৯০০০
** কারা ও বনরক্ষী-২০০০
** ভিনরাজ্যের সশস্ত্র পুলিস-১৮০০
** লাঠিধারী পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ার-৮০০০০
** প্রতি বুথে ১ সশস্ত্র পুলিস এবং ১ লাঠিধারী
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিগত কয়েক দিনে তুমুল আইনি টানাপোড়েনের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। মামলা গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতেও। পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে, ভোটের দফা সংক্রান্ত বিতর্ক এবং সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও তৃণমূল সরকারের পর্তি একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু, সেসব মামলার নিষ্পত্তি এখনও না হলেও, আদালত নির্বাচন সম্পন্ন করার পক্ষেই মত প্রকাশ করেছে। ফলে, এদিন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করাই এখন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।