পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের তেল মাখানো বাঁশের লাঠি নিয়ে তৈরি থাকার নির্দেশ দিলীপের
আগামী ১, ৩ ও ৫ মে নির্বাচন হবে। ৮ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছে কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার কমিশনের সঙ্গে আগে থেকে ঠিক করেই ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। বাংলায় এভাবেই সরকার চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর এভাবেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ''রাজ্য সরকার কমিশনের সঙ্গে কথা বলে আগেই ঠিক করে রেখেছিল ভোট কবে হবে। বিরোধীরা যাতে ভোট নিয়ে কোনও কথাই না বলতে পারেন তাই এভাবে দিন ঘোষণা করা হয়েছে।'' রাজ্যে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ৩ দফায় হতে চলেছে। আগামী ১, ৩ ও ৫ মে নির্বাচন হবে। ৮ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের ঢাকে কাঠি, ঘোষিত হল চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি টাকায় জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করে চলেছেন অনেকদিন আগে থেকেই। তাই এখন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, আমাদের হাতে প্রচারের কোনও সময়ই নেই। তবুও দেখা যাক কী করা যায়।''
এদিকে, এদিন জলপাইগুড়ির রানীনগরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। দলের প্রকাশ্য সমাবেশে কর্মীদের তিনি বলেন, ''ভোটের দিন প্রতিটি গ্রামের বুথ রক্ষীবাহিনীরা বাঁশের লাঠিতে তেল মাখিয়ে সজাগ থাকুন। গ্রামে ক্যাম্প করে বসুন। কোন অপরিচিত মানুষ ঢুকলে তাঁকে জেরা করুন। গ্রামের জামাই যদি ঢোকেন তাঁকে বলুন পরের দিন আসতে। কাল আসুন মাছ-ভাত খাবেন। আজ ঢুকতে চাইলে ডান্ডা খেতে হবে।'' রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেন, কোনও অপরিচিত মানুষ জেরার পর যদি কথা না শোনেন। জোর করে গ্রামে ঢুকতে যান, তবে তাঁকে হাসপাতাল হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।