Bandel Local Derailed: লাইনচ্যুত বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকালের চালকের শাস্তি কী?
তদন্তে ই এম ইউ চালকের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তিনি সিগন্যাল ভঙ্গ করেছেন। তাকে বিভাগীয় স্তরে এনকোয়ারির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ডাউন লাইন থেকে বিকেলের আগেই লোকাল ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত কামরা সরিয়ে নেওয়া যাবে। তার আগে হাই প্রোফাইল দূরপাল্লার ট্রেন যেমন রাজধানী, বন্দে ভারত, এগুলিকে একটি লাইন দিয়েই রিলে সিস্টেমে পাস করানো হয়েছে।
অয়ন ঘোষাল: বুধবার রাতে বর্ধমানের শক্তিগড়ে লাইনচ্যুত হয়েছে বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল। ডাউন লাইনে সেটি একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মারার পর লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই লাইনে বিঘ্ন ট্রেন চলাচল। ফলে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছে রেল। দুর্ঘটনার জেরে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রুট বদল করা হয়েছে বেশকিছু ট্রেনের।
তদন্তে ই এম ইউ চালকের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। তিনি সিগন্যাল ভঙ্গ করেছেন। তাকে বিভাগীয় স্তরে এনকোয়ারির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Bandel Local Derailed: শক্তিগড়ে লাইনচ্যুত লোকাল; বাতিল বহু ট্রেন, প্রবল বিপাকে নিত্যযাত্রীরা
জানা গিয়েছে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ডাউন লাইন থেকে বিকেলের আগেই লোকাল ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত কামরা সরিয়ে নেওয়া যাবে। তার আগে হাই প্রোফাইল দূরপাল্লার ট্রেন যেমন রাজধানী, বন্দে ভারত, এগুলিকে একটি লাইন দিয়েই রিলে সিস্টেমে পাস করানো হয়েছে। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। ওদিকের ট্রেন পাস করালে এদিকের ট্রেন কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার কিছুক্ষণ বাদে এই সিস্টেম রিভার্স করা হচ্ছে। যার ফলে ট্রেন ধীরে চলছে। কিছুটা লেটেও চলছে। কিন্তু পরিষেবা অন্তত চালু করা গিয়েছে।
তারকেশ্বর লাইনে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে সকালে কিছুক্ষণের জন্য ওভারহেড তার গলে গিয়ে ছিঁড়ে যায়। সকাল ৯.২৫মিনিট থেকে ফের ওই লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Mocha: ল্যান্ডফল ১৩০ কিলোমিটার বেগে, জেনে নিন ঘূর্ণিঝড় মোকা সম্পর্কে ৪ তথ্য
রেলওয়ে কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আপাতত আট মাসের সাসপেনশন হতে পারে তাঁর। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত কোনও রকম ডিউটি নয়। সাসপেনশন যদি ওঠে যা নির্ভর করছে এনকোয়ারি কমিটির রিপোর্টের উপর, তাহলে সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পর আর কোনও ধরনের যাত্রিবাহী ট্রেন অর্থাত দূরপাল্লা বা লোকাল ট্রেনে আর ডিউটি করতে পারবেন না তিনি।
কারশেড বা মালগাড়ির ডিউটি পেতে পারেন। যদি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে লেখা থাকে, চালকের সিগন্যাল ভঙ্গের ঘটনা ইচ্ছাকৃত বা বেপরোয়া মনোভাবের কারণে, তাহলে রেল থেকে আজীবন নির্বাসন হতে পারে তাঁর। তদন্ত কমিটিকে নব্বই দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হয় সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী। তবে রেল বোর্ড যদি মনে করে, তাহলে এই রিপোর্ট তিন মাসের আগেই জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।