Mamata In Asansol: তিস্তা আর জুবেরকে গ্রেফতার করা হল কেন? আসানসোলে বিজেপিকে তোপ মমতার
সোমবার আচমকাই জেরার নামে ডেকে অল্ট নিউজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড় ও অল্ট নিউজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার আসানসোলে তৃণমূলের কর্মীসভায় মমতা বলেন, বিজেপির সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মানে হল, ফেক ভিডিয়ো দেখানো, চিটিংবাজি করা, মিথ্যে কথা প্রচার করা। ওদের অনেক টাকা। তাই সেশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে। আপনাদের নেতা যদি ধর্ম নিয়ে মিথ্যে কথা, নোংরা কথা বলে তাহলে আপনারা তাকে গ্রেফতার করেন না। চুপচাপ বসে থাকেন। আপনারা খুন করলেও কোনও কথা হয় না। আর আমরা কথা বললেও আমাদের খুনি বানিয়ে দেন। জুবেরকে কেন গ্রেফতার করেছেন? ও কী করেছিল? কী করেছিল তিস্তা? গোটা দুনিয়ায় এর নিন্দা হচ্ছে।
গত শনিবার মুম্বইয়ে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়কে। অভিযোগ, তিনি গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে পুলিসকে মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন। মুম্বইয়ে এসে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাট এটিএস।
গুজরাট হিংসায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম ৬৪ জনকে ক্লিনটিট দিয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও একই রায় দিয়েছে। এরপরই শনিবার সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গুজরাট হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে বেঁধেন অমিত শাহ। পাশাপাশি ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি গুজরাট হিংসা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনেন তিস্তার বিরুদ্ধে। কাকতালীয় হলেও এরপরই মুম্বইয়ে এসে তিস্তাকে আটক করে গুজরাট এটিএস। গুজরাটের এক পুলিসে আধিকারিক ডি বি বারাড শীতলওয়াড় ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। শ্রীকুমারকে গান্ধীনগর থেকে গ্রেফতার করেছেন আহমেদাবাদ পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তিস্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার আচমকাই জেরার নামে ডেকে অল্ট নিউজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। ২০১৮ সালের এক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিস।
এনিয়ে অল্ট নিউজের অপর প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা টুইট করেন, 'বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আজ জুবেরকে তলব করে দিল্লি পুলিস। কিন্তু একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বহুবার অনুরোধ করার পরও এফআইআরের কোনও কপি দেওয়া হয়নি।'
টুইটারে জুবেরের একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। Hanuman Bhakt নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে জুবেরের ওই টুইটের প্রতিবাদ করা হয়। বিষয়টি নজরে আসে দিল্লি পুলিসের।
সংবাদমাধ্যম-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একাধিক খবরকে ভুল প্রমাণ করেছে প্রতীক সিনহা ও মহম্মদ জুবেরের অল্ট নিউজ। দিল্লি পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলে জুবেরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তুলে হেফাজতে চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন-Bus Accident: গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে উল্টে গেল নামী কলেজের বাস, হাসপাতালে ভর্তি একাধিক পড়ুয়া