Cooch Behar: তৃণমূলকর্মীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা বিজেপি নেতার স্ত্রীর!
পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। মিছিলে হামলা! আহত বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রে তুফানগঞ্জ।
দেবজ্য়োতি কাহালী: বিধানসভা ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া? বাড়িতে ফিরতেই স্বামীর উপর হামলা? প্রতিবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতার স্ত্রী। তাও আবার তৃণমূলকর্মীর বাড়ির সামনে! হাসপাতালে ভর্তি তিনি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ। সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম রাখাল দাস। গেরুয়াশিবিরের দাবি, একুশের বিধানসভা ভোটের থেকে ঘরছাড়া ছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরেছেন শুক্রবার। অভিযোগ, সেদিন সন্ধ্যায় রাখালের বাড়িতে চড়াও হন তৃণমূলকর্মীরা। স্রেফ হামলা চালানো হয়, তাঁর স্ত্রী রূপার সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করা হয়। আর তাতেই ভয় পেয়ে যান তিনি।
বাজার থেকে কীটনাশক কেনেন রূপা। সেই কীটনাশকের বোতল নিয়ে হাজির হন তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর এলাকায়, তৃণমূলকর্মীর বাড়ির সামনে। এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে কীটনাশক খেলে ফেলেন তিনি! বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা যখন দলের আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন, কখন মিছিলকে লক্ষ্য ইঁট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আহত হন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: TMC: চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ? ডেবরায় তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে লাঠিপেঠা!
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় চাকরি নামে প্রতারণার অভিযোগ গাছে বেঁধে তৃণমূল কর্মীর মারধর করলেন স্থানীয়েরা। আক্রান্তের নাম দিলীপ পাত্র। একসময়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ডেবরা ব্লকের সভাপতি ছিলেন তিনি। অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে করে যুবক-যুবতীর কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন দিলীপ। কিন্তু চাকরি পাননি কেউই। এরপর যখন টাকা ফেরত চান তাঁরা, তখন চেক দেন অভিযুক্ত। কিন্তু ব্যাঙ্কের জমা দেওয়ার পর, সেই চেকটি বাউন্স করে! কেন? অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল না।
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'ডেবরায় অজিত মাইতি নামে এক একজন চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছিল। যা হওয়ার, তাই হয়েছে। মানুষ ছেড়ে দেবে! ধরেছে, অসম্মান করেছে, গাছে বেঁধেছে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিসকে বলেছি, ও যেই হোক, আগে অ্য়ারেস্ট করুন। টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুন'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন রাজনৈতিক রং দেখে না। যাঁরা তৃণমূল বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বলছি, বহু আগে ও তৃণমূল সমর্থক ছিল। আমার ওকে সরিয়ে দিয়েছি'।