গণধর্ষণে মৃত্যু আদিবাসী মহিলার, এবার গঙ্গারামপুরে!
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শুকদেবপুর গ্রামের রামকৃষ্ণপুর এলাকায় বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়েবাড়িতে গেলে কমল সোরেন, শ্যামলাল সোরেন সহ আরও ২-৩ জন তাঁকে পাশের এক পুকুরের ধারে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর উপর চলে পাশবিক নির্যাতন।

শ্রীকান্ত ঠাকুর : আদিবাসী এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গঙ্গারামপুর থানার শুকদেবপুর লেবুতলা এলাকায়। অভিযোগ তাকে গণধর্ষণ করে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। নির্যাতিতা তাঁর জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা বলেছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শুকদেবপুর গ্রামের রামকৃষ্ণপুর এলাকায় বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়েবাড়িতে গেলে কমল সোরেন, শ্যামলাল সোরেন সহ আরও ২-৩ জন তাঁকে পাশের এক পুকুরের ধারে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। মারধরও করে।
মঙ্গলবার ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে অন্যের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। তারপরই মঙ্গলবার রাতেই গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ক্রমশ শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকে। শেষে শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই আদিবাসী গৃহবধূর।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহের প্রতিশোধ সন্তানের উপর! ৭ বছরের ছেলের সঙ্গে চরম নৃশংস আচরণ মায়ের
মৃত্যুর ঘটনার খবর এলাকায় পৌঁছাতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীরা দোষীদের শাস্তি দাবি জানান। ঘটনাস্থলে গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস। যদিও এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।