Malda: ফেসবুকে আলাপ, সহবাস? বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় যুবতী
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন পুলিসকর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন তিনি।
রণজয় সিংহ: ফেসবুকে আলাপ, প্রেম? একাধিকবার সহবাস? বিয়ে করার দাবিতে এবার প্রেমিকের বাড়ি সামনে ধরনায় বসলেন এক যুবতী। 'নাবালক ছেলের বিয়ে দিতে পারবে না', দাবি অভিযুক্তের বাবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মহম্মদ নিহাল পারভেজ। বাড়ি, হরিশ্চন্দ্রপুরে কুশিদা পঞ্চায়েতের রানিপুরা গ্রামে। তাঁর বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ধরনায় বসেছেন এক যুবতী। কেন? তাঁর দাবি, বছর তিনেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নিহালের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্রেফ একসঙ্গে সময় কাটানো নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে নিহাল একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Asansol: সরকারি কমিউনিটি হলে জুয়ার ঠেক! আসানসোলে গ্রেপ্তার ১৯
তারপর? ওই তরুণীর অভিযোগ, প্রথমে নানা অজুহাতে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন নিহাল। এখন সরাসরিতে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন তিনি। সেকারণেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন! অভিযুক্তের বাবা নাহিদ হোসেন দাবি, ছেলের সঙ্গে যে ওই যুবতীর সম্পর্ক রয়েছে, সেকথা জানেন না। ছেলে নাবালক। তার বিয়ে দিতে পারবেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। যে তরুণীর ধরনায় বসেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন পুলিসকর্মীরা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন তিনি।
এর আগে, একইভাবে ফেসবুকে 'প্রতারণা'র শিকার হন চন্দনগরের এক তরুণী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, এমনকী, বাড়ি থেকে গয়না ও টাকা নিয়ে চম্পট দিল ভিনরাজ্যের যুবক! পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। আদালতের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঠিক কী? ওই তরুণীর বাড়ি চন্দননগরের বারাসাত এলাকায়। পেশায় তিনি গায়িকা। কলকাতার পানশালায় গান করেন। বাড়িতে ৩০টিরও বেশি কুকুর রয়েছে। তাঁর দাবি, মাস পাঁচেক আগে ফেসবুকের মারফৎ উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা শীতলদীপ জৈনের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই আলাপ প্রেমে গড়াতেও বেশি সময় লাগেনি! এরপর পোষ্য কুকুরগুলিতে দেখভাল করার অজুহাতে বাড়িতে এসে হাজির হয় শীতল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সে সহবাস করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হবু স্ত্রী যখন অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন, তখন ঔষুধ খাইয়ে সন্তান নষ্টও করে দেয় অভিযুক্ত যুবক। শেষপর্যন্ত বাড়িতে চড়াও হয়ে নগদ টাকা ও গয়না লুঠ করে চম্পট দেয়!