জমি কিনে ফেলে রাখলে গুনতে হবে মোটা জরিমানা, জানাল নবান্ন
কেএমডিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির কসবা, রুবি (নিউ কলকাতা টাউনশিপ), পাটুলি এলাকায় জমি কিনে ফেলে রাখলে গুনতে হবে জরিমানা। জমির মালিকের আয় অনুসারে ঠিক হবে জরিমানার অংক। জমি ২০ বছরের বেশি ফেলে রাখলে গুনতে হবে বাড়তি জরিমানা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জমি কিনে ফেলে রাখলে এবার থেকে গুনতে হবে মোটা জরিমানা। কেএমডিএ-র তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক শহরতলিতে জমি ফেলে রাখলে এবার থেকে জরিমানা করবে সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পর্ষদ। ২০ বছরের বেশি জমি ফেলে রাখলে গুনতে হবে মোটা জরিমানা।
রাজ্য সরকারের দাবি, কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহর লাগোয়া এলাকায় নগরায়নের লক্ষ্যে অপেক্ষাকৃত কম দামে জমি বণ্টন করা হয়েছিল। সেই জমি কিনে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছেন বেশ কিছু মানুষ। বসত বাড়ি হোক বা বাণিজ্যিক ভবন, যে কারণেই জমি কেনা হয়ে থাকুক না কেন তা গড়ার কাজ শুরুই করেননি তাঁরা। ওদিকে শহরতলিতে লাফিয়ে বাড়ছে জমির দাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাই অব্যবহৃত জমির ওপর রাশ টানতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে ৭০০ জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কেএমডিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির কসবা, রুবি (নিউ কলকাতা টাউনশিপ), পাটুলি এলাকায় জমি কিনে ফেলে রাখলে গুনতে হবে জরিমানা। জমির মালিকের আয় অনুসারে ঠিক হবে জরিমানার অংক। জমি ২০ বছরের বেশি ফেলে রাখলে গুনতে হবে বাড়তি জরিমানা। কলকাতা ছাড়া শিলিগুড়ি, কল্যাণী ও দুর্গাপুরের একাংশেও লাগু হবে এই বিধি। জরিমানা দিতে না-পারলে জমি ফেরত দিতে হবে রাজ্যকে। বাজারদরে জমি কিনে নেবে রাজ্য সরকার।
ঝাঁ চকচকে তিন তলা বাড়ির পুরোটাই এসি , শপিং মল নয়, এটা তৃণমূলের পার্টি অফিস
কেএমডিএর কর্তাদের দাবি, বিধাননগরে এই নীতি কার্যকর করে সুফল মিলেছে। অব্যবহৃত জমির পরিমান বেশ খানিকটা কমেছে সেখানে। এবার বাকি রাজ্যেও তাই এই নীতি প্রয়োগ করতে চলেছে রাজ্য আবাসন দফতর।