প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার দুঃস্বপ্নের পরিণতি, প্রেমিকাকে খুনের পর মাটিতে পুঁতল প্রেমিক!
গ্রামবাসীরা সোমবার বিষয়টি টের পান। তারপরই পুলিসেকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা। পুলিস এসে অনুসন্ধান শুরু করে। তারপরই মাটিতে পুঁতে রাখা দেহের খোঁজ মেলে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রেমের টানে ছেড়েছিলেন ঘর। স্বপ্ন সাজিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে একসাথে ঘর বাঁধার। কিন্তু সেই স্বপ্ন-ই দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিল। চরম বিপদ ডেকে আনল। যে প্রেমিকের সঙ্গে একসঙ্গে 'ঘর' বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই প্রেমিক-ই তাঁকে খুন করে পুঁতে দিলেন মাটিতে! ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়গ্পুর গ্রামীণে। মৃতার নাম পবিত্রা। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম তরুণ সিং।
খড়্গপুর গ্রামীণের ভালুকমচা গ্রাম। সেই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিল যুগল। অভিযোগ, প্রেমের টানে দু'জনই নিজেদের ঘর ছেড়েছিলেন। গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে, বড় রাস্তা পেরিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঘর বেঁধেছিলেন একত্রে। কিন্তু তারপর সঙ্গিনীকেই হত্যা করে পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক তরুণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। খুনের পর জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতেই প্রেমিকা পবিত্রাকে মাটিতে পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিক তরুণ সিং আগেই বিবাহিতছিল। তাঁর একটি সংসারও হয়েছে। সেই সংসারে আছেন প্রাক্তন স্ত্রী সন্ধ্যা সিং ও দুই ছেলে। তাঁদেরকে ছেড়ে দিয়ে পবিত্রাকে নিয়ে ঘর ছাড়ে তরুণ। ওদিকে পবিত্রারও আগে বিয়ে হয়েছিল। প্রথমপক্ষের বিয়েতে পবিত্রারও ২ সন্তান। পবিত্রাও ২ সন্তান-সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তরুণের হাত ধরে। তারপর থেকেই আর বাড়ির সঙ্গে বা মা-বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
অভিযোগ, তরুণ সিং প্রথম থেকেই বদ মেজাজি। নেশা করে মাতাল হয়ে আগেও বাড়িতে স্ত্রীকে মারধর করত। বাড়ি ছেড়ে আসার পর পবিত্রার সঙ্গে গ্রামের শেষ প্রান্তে জঙ্গলের ধারে ঝুপড়িতে থাকত দুজন। কিন্তু সেখানেও কিছুদিন থাকার পর থেকে পবিত্রাকে মারধর শুরু করে তরুণ। এমনকি কয়েকদিন আগে মারের চোটে হাঁটা-চলার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়েছিল পবিত্রা। গ্রামবাসীরাই তখন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর ফের গতকাল দুপুরে তরুণের মারেই পবিত্রার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা সোমবার বিষয়টি টের পান। তারপরই পুলিসেকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা।
পুলিস এসে অনুসন্ধান শুরু করে। তারপরই মাটিতে পুঁতে রাখা দেহের খোঁজ মেলে। রাতেই পুলিস অভিযুক্ত তরুণ সিংকে গ্রেফতার করে। এরপর এদিন জেলাশাসকের উপস্থিতিতে মাটির নীচ থেকে দেহ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেহ তোলাও হয়েছে। সকালে খড়গপুর গ্রামীণের বিডিও ও সিআইএর উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তরুণ সিং। প্রেমিক তরুণ সিংয়ের দাবি, সে প্রেমিকা পবিত্রাকে হত্যা করেনি। তবে প্রেমিকা পবিত্রার মৃত্যুর পর মাটিতে পুঁতে ফেলেছিল। এই ঘটনায় যথোপযুক্ত তদন্তের পর দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন, Jalpaiguri: রান্না করতে ডেকে নাবালিকাকে ধর্ষণ দাদুর! মানসিক অবসাদে বিষ খেলেন দম্পতি