Youtuber Riya Kumari Murder: সাতসকালে বাগনানে খুন ঝাড়খণ্ডের ইউটিউবার, স্বামীর বয়ানে বিস্তর অসংগতি!
ওই ঘটনার তদন্তে কাজে লাগতে পারত সিসিটিভির ফুটেজ। কিন্তু আমপানের পর ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে লাগােনা অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার বেশিরভাগচাই ঠিক করা হয়নি
![Youtuber Riya Kumari Murder: সাতসকালে বাগনানে খুন ঝাড়খণ্ডের ইউটিউবার, স্বামীর বয়ানে বিস্তর অসংগতি! Youtuber Riya Kumari Murder: সাতসকালে বাগনানে খুন ঝাড়খণ্ডের ইউটিউবার, স্বামীর বয়ানে বিস্তর অসংগতি!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/28/401895-3.png)
রণয় তেওয়ারি ও শুভাশিস মণ্ডল: হাওড়ার বাগনানের রাজাপুরে জাতীয় সড়কের উপরে সাতসকালে গুলিতে খুন ঝাড়খন্ডের ইউটিউবার রিয়া কুমারী। রিয়ায় স্বামী প্রকাশের বয়ান অনুযায়ী রাজাপুরে একটি ব্রিজের পাশে যে জায়গায় তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থামিয়েছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। রিয়া বাধা দিতে গেল তার কানের পাশে গুলি করে উধাও হয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিস সূত্রে খবর, প্রকাশ যা বলছে তার মধ্যে বেশকিছু অসংগতি রয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় সড়কের যে জায়গায় রিয়া খুন হয়েছেন সেখানে সিসিটিভি থাকলেও তা বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে সবেমিলিয়ে প্রবল বিপাকে পুলিস। ফলে প্রকাশের প্রতিটি কথা এখন খতিয়ে দেখছে বাগনান থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-কাকদ্বীপ থেকে মালদহে; প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নায় ২ সন্তানের জননী, তাজ্জব গ্রামবাসী
প্রকাশের দাবি, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলাম। গাড়ি থেকে দূরে যাইনি। তার মধ্যেই একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে পাশে দাঁড়িয়ে যায়। আমার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। আমার মাথার পেছনে ধাক্কা মারে। তারপরেই স্ত্রীর আওয়াজ শুনতে পাই, ও আমার নাম ধরে চিত্কার করছিল। ওকেও টানাহেঁচড়া করা হচ্ছিল। দেখি ওরা রিয়া গুলি করেছে। কয়েক মুহূর্তে ওরা উধাও হয়ে যায়।
পুলিস প্রকাশ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সূত্রের খবর, প্রকাশের বক্তব্যে বিস্তার অসংগতি রয়েছে। ঘটনার পেছনে প্রকাশের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে স্ত্রীকে নিয়ে যায় প্রকাশ। সেখানেই সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চায়। পুলিস আরও যে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তা হলে সকালে পৌনে ছটা থেকে ছটা নাগাদ যদি ওই ঘটনা ঘটে তাহলে ওইরকম একটি ব্যাস্ত জায়গায় তা কারও চোখে পড়ল না কেন?
এদিকে, ওই ঘটনার তদন্তে কাজে লাগতে পারত সিসিটিভির ফুটেজ। কিন্তু আমপানের পর ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে লাগােনা অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার বেশিরভাগচাই ঠিক করা হয়নি। ছিনতাই, অসামাজিক কাজকর্মের উপরে নজর রাখতে সম্প্রতি ওই জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। তার একটি কন্ট্রোল রুমও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু েসবও ঠিকঠাক নেই। ফলে ঘটনার তদন্ত পুলিসের কাছে ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠছে।