লালগ্রহের স্পন্দন মাপতে পাড়ি দিল ইনসাইট
গত ২০টি মঙ্গল অভিযানে মঙ্গলপৃষ্ঠ ও তার বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এবার তাদের লক্ষ্য লালগ্রহের অভ্যন্তর।
![লালগ্রহের স্পন্দন মাপতে পাড়ি দিল ইনসাইট লালগ্রহের স্পন্দন মাপতে পাড়ি দিল ইনসাইট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/05/05/119435-insight127327.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: সফলভাবে সম্পন্ন হল মার্কিন মঙ্গলসন্ধনী যান ইনসাইট-এর প্রথম পর্যায়ের উত্ক্ষেপণ। শনিবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪.৩৫ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ এয়ারবেস থেকে মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রাশুরু করে যানটি। ইনসাইটের সঙ্গে উত্ক্ষেপণ করা হয়েছে ২টি ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ। মঙ্গলের পথে যাত্রার সময় যানটির ওপর নজরদারি চালাবে এই ছোট উপগ্রহদু'টি।
গত ২০টি মঙ্গল অভিযানে মঙ্গলপৃষ্ঠ ও তার বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এবার তাদের লক্ষ্য লালগ্রহের অভ্যন্তর। ইনসাইটে রয়েছে মূলত তিনটি যন্ত্রাংশ। এর মধ্যে রয়েছে একটি সিসমোগ্রাফ। ফরাসি প্রযুক্তিতে তৈরি এই যন্ত্র সরাসরি মঙ্গলপৃষ্ঠে প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার ওপর থাকবে একটি তাপ ও বায়ুরোধী আবরণ। ভূমিকম্পের মতো মঙ্গলপৃষ্ঠের কম্পন ও উল্কাপাতের ফলে সৃষ্ট কম্পন মাপবে এই যন্ত্র। এছাড়া রয়েছে একটি তাপ ও মৌলসন্ধানী প্রোব। মঙ্গলের মাটি ভেদ করে ৫ মিটার প্রবেশ করবে সেটি। সঙ্গে রয়েছে একটি ম্যাগনেটোমিটার। যা মঙ্গলের চৌম্বকক্ষেত্র পরিমাপ করে তার অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনত্রুটি পরিমাপ করবে। গ্রহের এই চরিত্র থেকে তার ভিতরে তরল ধাতুর উপস্থিতি জানা যায়। \
আমুল, মাদার ডেয়ারির দুধে মেশানো হয়েছে জল, দাবি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
প্রায় ৬ মাস যাত্রা করে মঙ্গলে পৌঁছবে ইনসাইট। ২৬ নভেম্বর যানটিকে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। শনিবার অ্যাটলাস ৫ রকেটের গতিবিধি ছিল স্বাভাবিক। উত্ক্ষেপণের প্রায় ১২ মিনিট পর যানটিকে প্রথম কক্ষে স্থাপন করে রকেটটি। নাসার গবেষকদের কথায়, এই প্রথম মঙ্গলের অভ্যন্তরে উঁকি দেবেন তাঁরা। এর আগে ভাইকিং ১ যানে সিসমোগ্রাফ থাকলেও তার সংবেদনশীলতা ছিল খুবই কম। ফলে তেমন লাভ হয়নি। এবার তাই ইনসাইট নিয়ে উন্মুখ গোটা বিশ্ব।