ভাইকে সাহায্য বড়'দার, মুকেশের জিও কিনছে অনিলের আরকম
অনিল আম্বানির ঋণগ্রস্ত রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স (আর কম) কিনতে চলেছেন টেলিকম টাইকুন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫০০০ কোটি টাকার চুক্তিতে ভাইয়ের ধুঁকতে থাকা টেলিকম সংস্থার মালিকানা নিজের হাতে নিতে চলেছেন দাদা মুকেশ আম্বানি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাই বিপদে, হাত বাড়িয়ে দিলেন বড়'দা। ঋণ শোধ করে ফের মাজা শক্ত করে দাড়াতে অনিলকে সাহায্য করছেন মুকেশ। অনিল আম্বানির ঋণগ্রস্ত রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স (আর কম) কিনতে চলেছেন টেলিকম টাইকুন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫০০০ কোটি টাকার চুক্তিতে ভাইয়ের ধুঁকতে থাকা টেলিকম সংস্থার মালিকানা নিজের হাতে নিতে চলেছেন দাদা মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, আম্বানি ভাইদের মধ্যে এই চুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ধীরুভাই আম্বানির ৮৫ তম জন্ম জয়ন্তীতে।
আরও পড়ুন- ভারত 'থার্ড পার্টি'! পাকিস্তান-আফগানিস্তানকে পাশে নিয়ে কটাক্ষ চিনের
দাদা-ভাইয়ের মধ্যে কোম্পানি হস্তান্তরের কথা ঘোষিত হয়েছে মুকেশ এবং অনিল উভয় পক্ষ থেকেই। এনডিটিভি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স তাদের সমস্ত তারবিহীন (ওয়্যারলেস) সম্পদ তুলে দিতে চলেছে রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের হাতে এবং সে কথা চিঠি দিয়ে মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জকেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে দাদা-ভাইয়ের ইচ্ছেতেই ভাগ হয়ে যায় আম্বানি ইন্ডাস্ট্রি। তেল এবং গ্যাসের ব্যবসার পুরোভাগের দায়িত্ব নেন মুকশ আম্বানি। অন্যদিকে টেলিকমের ব্যাটন নিজের হাতে রাখেন ধীরুভাই আম্বানির ছোট ছেলে অনিল। এরপর এক দশকের মাথায় জিও প্রকল্প চালু করে টেলিকম দুনিয়ায় 'কামব্যাক' করেন মুকেশ। স্ত্রী নীতা আম্বানিকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে ভারতকে জিও বিল্পবের সাক্ষী করেন মুকেশ। যার ধাক্কায় কাঁপুনি ধরে যায় প্রতিযোগী টেলিকম সংস্থাগুলির।
আরও পড়ুন- ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতেও এবার আধার?
এই জিও ঝড় থেকে রেহাই পায়নি অনিল আম্বানির রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স'ও (আরকম)। অবশেষে দাদা মুকেশ আম্বানির হাত ধরেই ধাক্কা সামলাতে তৎপর হয়ে ওঠেন ভাই অনিল। দেশে বিদেশে বর্তমানে অনিলের সংস্থার প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। আর সে কারণেই রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের কাছেই বিক্রি হতে চলেছে আরকম। জিও-র কাছ থেকে পাওয়া অর্থে ঋণ পরিশোধ করবে আরকম, এমনটাই জানা যাচ্ছে। এর এই অধিগ্রহণের ফলে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্সের টাওয়ার, ৪জি পরিষেবা কিনে নিয়ে রিলায়েন্স জিও যে নিজের পরিধি আরও বাড়াবে সে বিষয়ে নিশ্চিত বাজার বিশেষজ্ঞরা।