জিদানোত্তর যুগের সেরা ফর্মে ফ্রান্স, কার্যত নক আউটে বেঞ্জিমারা
জিদানোত্তর যুগের সেরা ফর্মে ফ্রান্স, কার্যত নক আউটে বেঞ্জিমারা
-------------------------------------------------------
ফ্রান্স (৫) সুইজারল্যান্ড (২)
বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কার্যত উঠে গেল ফ্রান্স। গ্রুপ ই-এর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতল দিদিয়ের দেশঁর দল। সুইজারল্যান্ডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিলেন করিম বেঞ্জিমারা। (ছবি- খেলার মাঝপথে এক ফুটবলভক্ত মাঠে ঢুকে পড়েন। পরে নিরাপত্তা কর্মীকে সেই ফুটবল ভক্তকে মাঠ থেকে বের করে দেন। (এপি))
এবছর ব্রাজিল বিশ্বকাপে এল সালভাডোর স্টেডিয়ামে গোলের সুনামি হয়েই চলেছে। এর আগে এই স্টেডিয়ামে স্পেনকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। আর পর্তুগালকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি। ব্যতিক্রম ছিল না ফ্রান্স- সুইজারল্যান্ড ম্যাচও। গ্রুপ ই-এর ম্যাচে সুইসদের ৫-২ গোলে হারিয়ে নকআউটে চলে গেলেন করিম বেঞ্জিমারা। ম্যাচের ফলাফল ৭-২ হতে পারতো যদি না বেঞ্জিমা একটি পেনাল্টি মিস করতেন আর রেফারি যদি তাঁরই শেষ লগ্নে করা গোল বাতিল করে দিতেন।
এদিন ম্যাচে ফ্রান্সকেই এগিয়ে রেখেছিলেন সুইস কোচ। তবে তিনি বোধহয় ভাবেননি তাঁর দলের সঙ্গে কার্যত ছেলেখেলা করবে ফ্রান্স। ম্যাচের ষোল মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম গোলটি করেন অলিভার জিরুড। এই গোলের সঙ্গে-সঙ্গেই বিশ্বকাপে গোলের সেঞ্চুরি করে ফেলল ফ্রান্স।
স্টেডিয়ামে ফ্রান্স সমর্থকরা গোলের উচ্ছ্বাস পালন করতে না করতেই আরেকটি গোল। ব্যবধান বাড়ান মাতুইদি। দুটি গোলের মধ্যে মাত্র ছেষট্টি সেকেন্ডের তফাত ছিল। তাঁর কিছু পরেই বেঞ্জিমাকে ফাউল করেন জোহান জোরু। পেনাল্টি পেলেও তা গোলে পরিনত করতে ব্যর্থ হন বেঞ্জিমা। তবে কিছু পরেই সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দেন ভ্যালবুয়েনা। দুরন্ত পাল্টা আক্রমণ করে গোল করেন ফ্রান্সের এই তরুণ তুর্কি। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি গোল পেলেন করিম বেঞ্জিমা।
পল পোগবার ক্রসকে কাজে লাগিয়ে গোল করে যান এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন সিসোকো। বেঞ্জিমার পাস থেকে গোল করে যান তিনি। খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে স্কোরশিটে নাম লেখায় সুইজারল্যান্ড। দলের হয়ে গোল করেন জেমালি এবং জাহা। ফ্রান্সের হয়ে আরেকটি গোল করে ফেলেছিলেন করিম বেঞ্জিমা। কিন্তু তার আগে রেফারির বাঁশি বেজে যাওয়ায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।