Asteroid: পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তৈরি হত অর্ধেক কলকাতার মাপের গর্ত, মানবসভ্যতার ইতি?
এ কয়েক দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে গিয়েছে। গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি ছিল বিশালাকার, মহাকাশ গবেষকদের মতে যেগুলি উদ্বেগজনক। কারণ হিসেবে একটু ভুলচুক হলেই সেগুলি এখনও ধেয়ে আসতে পারে সোজা পৃথিবীর দিকে। আর ঘটাতে পারে বড় বিপর্যয়!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: '২০২২ ওটি১' নামের গ্রহাণুটি ১১০ ফুট চওড়া, সাম্প্রতিক কালে ধেয়ে আসা পাঁচটি ধূমকেতুর মধ্যে আকারে সব থেকে বড়। রবিবার ভোর নাগাদ পৃথিবীর ৪৭ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসার কথা তার! এ কদিন তাই ভয়ে ভয়েই কাটছে পথিবীবাসীর। তবে আগ্রহান্বিত ভাবে অপেক্ষায় মহাকাশ গবেষকেরা। গত কয়ে্ক দিনের মধ্যে, কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে গিয়েছে। গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, মহাকাশ গবেষকদের মতে যেগুলি উদ্বেগজনক। কারণ হিসেবে একটু ভুলচুক হলেই সেগুলি ধেয়ে আসতে পারে সোজা পৃথিবীর দিকে। আর ঘটতে পারে বড়সড় বিপর্যয়! নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, রবিবার ভোরে, ভারতীয় সময় ৩টে বেজে ২৩ মিনিট নাগাদ ২০২২ ওটি১ গ্রহাণুটির পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি চলে আসার কথা। সেই সময় গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৫.৭ কিলোমিটার অর্থাৎ, ঘণ্টায় প্রায় ২০,৫২০ কিলোমিটার গতিবেগে তার কক্ষপথ ধরে ছুটবে। সেটি এখন তা হলে কোথায় অবস্থান করছে? সেটি কি পৃথিবীর ছায়া ছেড়ে ছুটে গেছে অন্যদিকে? কে জানে!
আরও পড়ুন: Worlds Clearest UFO: বিশ্বের সব চেয়ে স্পষ্ট ইউএফও! ৩০ বছর আগের এ ছবি কীসের ইঙ্গিত?
নাসার অ্যাস্ট্রয়েড ওয়াচ বিভাগের কাজই হল এই গ্রহাণুদের উপর নজর রাখা। পৃথিবীর ৭৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে যে যে গ্রহাণু এবং ধূমকেতুগুলিকে চলে আসে, তাদের সম্ভাব্য গতিপথ তৈরি করে তারা। নাসা এই গ্রহাণুটির কক্ষপথের যে মডেল তৈরি করেছে, তাতে অবশ্য গ্রহাণুটির পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার আর কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে, মহাজাগতিক বিষয়ে মানুষের জ্ঞান সীমিত। তাই যে কোনও মুহূর্তে হিসেবে গোলমাল হয়ে যেতে পারে।
নাসার মতে, যদি কোনওভাবে এই আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করে, তাহলে প্যারিস শহরের আকারে, বা কলকাতা শহরের প্রায় অর্ধেক আকারের একটি বিরাট গর্ত তৈরি হতে পারে পৃথিবীর বুকে। সেটি হলে, মানবসভ্যতার ইতিও ঘটতে পারে। কেননা সকলেই জানেন, ডাইনোসরদের কী পরিণতি ঘটেছিল। একটি বিশালাকার গ্রহাণু এসে পড়েছিল পৃথিবীতে। তা থেকে পৃথিবীতে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছিল। তার জেরেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসর।
প্রসঙ্গত, ৯৩ ফুট চওড়া ২০২২ পিডব্লু ১৬ অগস্ট পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি বড় আকারের গ্রহাণু বিপজ্জনকভাবে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছে। সেগুলির মধ্যে একটিও এই গ্রহকে আঘাত করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।