অবশেষে মুক্ত চিনে পণবন্দি দুই ভারতীয়
শেষপর্যন্ত চিনে পণবন্দি দুই ভারতীয় মুক্তি পেলেন। তাঁদের উদ্ধার করে সাংহাইতে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কূটনৈতিক স্তরে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। সেই অস্বস্তি কাটাতে আসরে নেমেছে বেজিং।
শেষপর্যন্ত চিনে পণবন্দি দুই ভারতীয় মুক্তি পেলেন। তাঁদের উদ্ধার করে সাংহাইতে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে কূটনৈতিক স্তরে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। সেই অস্বস্তি কাটাতে আসরে নেমেছে বেজিং। আজই বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেন চিনের রাষ্ট্রদূত ঝাং ইয়ান। ওই দুই ভারতীয়কে যারা আটক করেছিল সেই পাঁচ চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন।
আদালত মুক্তি দেওয়ার পরও ইউ শহরের চিনা ব্যবসায়ীরা একটি বেসরকারি শিল্পসংস্থার ভারতীয় দুই কর্মী- দীপক রাহেজা এবং শ্যামসুন্দর আগরওয়ালকে পণবন্দি করে রাখার ঘটনা নয়াদিল্লি যে ভালচোখে দেখছে না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক। সাউথ ব্লকের এই প্রতিক্রিয়ার পরই নড়েচড়ে বসে চিন। বুধবার চিনা রাষ্ট্রদূত ঝাং ইয়ান দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার সঙ্গে। বিষয়টি দ্রুত মিটিয়ে ফেলার আশ্বাসও দেন।
তবে শুধু নয়াদিল্লিতে নয়, চিনের মাটিতেও দিনভর তত্পরতা ছিল এই ইস্যুকে ঘিরে। এক বেসরকারি সংস্থার দুই ভারতীয় কর্মীকে উদ্ধারে সচেষ্ট হয় চিন প্রশাসন। তাঁদের উদ্ধারের পর বুধবার সাংহাইতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তবে চিনা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুই ভারতীয় কর্মীর উপর অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনার কোনও প্রভাব যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছে দুদেশই। বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সম্ভবত সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন চিনা রাষ্ট্রদূত।