পঞ্চাশ বছরে `আই হ্যাভ ড্রিম`
আঠাশে অগাস্ট, ১৯৬৩। ওয়াশিংটনের লিঙ্কন মেমোরিয়াল থেকে সমান অধিকারের স্বপ্ন দেখেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। আগামী বুধবার সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেল তার প্রস্তুতি।
আঠাশে অগাস্ট, ১৯৬৩। ওয়াশিংটনের লিঙ্কন মেমোরিয়াল থেকে সমান অধিকারের স্বপ্ন দেখেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। আগামী বুধবার সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গেল তার প্রস্তুতি।
লড়াই শেষ করে যেতে পারেননি। লড়াই শেষও হয়নি। মার্টিন লুথার কিংয়ের স্বপ্নই পরবর্তী প্রজন্মের হয়ে দাঁড়িয়েছে আসল আমেরিকান ড্রিম। কৃষ্ণাঙ্গরা একে একে পেয়েছেন নাগরিক সুবিধায় সমান অধিকার, ভোটাধিকার। তারপর দুহাজার নয়ে শপথ নিয়েছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার। উনিশশো তেষট্টির অগাস্টে লিঙ্কন মেমোরিয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এমন স্বপ্নই তো দেখেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র?
সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কি? না। প্রেসিডেন্ট পদে একজন কৃষ্ণাঙ্গের নির্বাচনে বদলে যায়নি মার্কিন সমাজ। মার্কিন গণতন্ত্রের শিরায় উপশিরায় এখনও বৈষম্য। তার প্রমাণ মেলে দুহাজার বারোয় ফ্লোরিডায় কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রেভন মার্টিন হত্যাকাণ্ডে। হত্যাকারী জর্জ জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। আইনি ব্যাখ্যা, আত্মরক্ষার্থে ট্রেভন মার্টিনকে খুন করেছেন জিমারম্যান। এই খুনের মান্যতা দেয় মার্কিন সংবিধান। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে ফের চ্যালেঞ্জের মুখে কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার। তাই লড়াই এখনও অনেক বাকি।
আঠাশে অগাস্ট লিঙ্কন মেমোরিয়ালে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ঐতিহাসিক বক্তৃতার ৫০ বছর পূর্তি। ওইদিন সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দেবেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। রবিবার থেকেই লিঙ্কন মেমোরিয়ালে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন শোভাযাত্রা।
বৈষম্য ফুরোয়নি। তাই ফুরিয়ে যায়নি স্বপ্ন দেখাও। কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকার, ভোটাধিকার, নারীর অধিকার, বাঁচার অধিকারের দাবিতে আবার পা মিলিয়েছে আমেরিকা। সেই ভিড়ে আর শুধু কৃষ্ণাঙ্গরা নেই। রয়েছেন, ল্যাটিনো, এশিয়ান, অ্যাফ্রো-আমেরিকান, মহিলা, শিশু, সমকামী, উভকামী, বিষমকামী, চাকুরিজীবী, বেকার, চিকিত্সক, রোগী, শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমিক, সকলেই। সমান অধিকারের দাবিদার সকলেই। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্রে এখনও বৈষম্যের বহু মুখ।