গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাতল তুতানখামেনের দেশ
হাজার হাজার মানুষ। হাতে দেশের পতাকা। মুখে হাসি আর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। বুধবার রাজধানী কায়রোর তাহিরির স্কোয়্যারে নামলেন গোটা ইজিপ্ট। ঠিক এক বছর আগে এই দিন থেকেই প্রাক্তন শাসক হোসনি মুবারক সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল।
হাজার হাজার মানুষ। হাতে দেশের পতাকা। মুখে হাসি আর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। বুধবার রাজধানী কায়রোর তাহিরির স্কোয়্যারে নামলেন গোটা ইজিপ্ট। ঠিক এক বছর আগে এই দিন থেকেই প্রাক্তন শাসক হোসনি মুবারক সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। সেই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতেই মাতল মিশরবাসী।
কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির উত্সবের মধ্যেই ছিল আরও একটি আন্দোলনের ভ্রূকুটি। তা হল দেশের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। মুবারক সরকারের পতনের পর মিশরের ক্ষমতা রয়েছে সামরিক পরিষদ সুপ্রিম কাউন্সিল অফ দ্য আর্মড ফোর্সেস-এর হাতে। নির্বাচনে জিতেছে রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড। কিন্তু সামরিক পরিষদের শাসন দেশের মানুষের মন জয় যে করতে পারেনি তা এদিনের জমায়েতে কিছু মানুষের কথাতেই স্পষ্ট। তাহিরির স্কোয়্যারের জমায়েতে আসা ইমান ফাহমি জানালেন, তাঁরা এখানে উত্সব করতে আসেননি। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধেই তাঁদের আজকের জমায়েত। সামরিক পরিষদের প্রবল সমালোচনা করে জমায়েতে আসা খালেদ আবদুল্লার বক্তব্য, সেনা ও পুলিস মিলে খুন করছে। আন্দোলনকারীদের গলা টিপে ধরছে। এভাবে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না।
অপরদিকে মঙ্গলবার মিশরে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ফিল্ড মার্শাল হুসেন তান্তাউই। তিনি জানান, খুন অথবা হিংসা ছাড়া জরুরি অবস্থা জারি হবে না। প্রায় ১৯৬৭ সাল থেকেই জরুরি অবস্থা জারি ছিল মিশরে। এর আগে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে বারবার আশ্বস্ত করলেও, শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা তোলেননি মুবারক। যদিও দেশের বেশ কিছু মানুষের মতে, মুবারকও এই কথাই বলতেন। জরুরি অবস্থা তোলার ব্যাপারে তান্তাউইয়ের ঘোষণার সঙ্গে মুবারকের ঘোষণার খুব একটা অমিল নেই। প্রসঙ্গত, ২০১০-এ ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মুবারক বিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছিলেন ৮৪৬ জন। আহতের সংখ্যা ৮,০০০ ছাড়ায়। এদিন তাহিরির স্কোয়্যারে জমায়েতের শুরুতে সেই নিহতদের প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।