কেমন ছিল গুহার জীবন? ঘরে ফেরার আগে অভিজ্ঞতা জানালো থাই ফুটবলাররা
সাংবাদিকের ফের কৌতুহলী প্রশ্ন, ‘গুহার আটকে পড়ে তোমাদের ভয় করেনি!’ ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলের কোচ জানান, সবাই ভীষণ সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতাল থেকে আজই ছাড়া পেল থাইল্যান্ডের ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলের সদস্যরা। এরপর ঘন্টা খানেক সাংবাদিক বৈঠকে আড্ডা দিল ১২ জন খুদে ফুটবলার এবং তাদের কোচ। উপস্থিত ছিলেন চিয়াং রাই হাসপাতালের চিকিত্সকরাও। ওই খুদেদের দুঃসাহসিক অভিযানের কথা শুনতে অপেক্ষা করছিলেন তাদের পরিজন এবং সাংবাদিকরা। গুহার ভিতর ১৭ দিনের লড়াইয়ের কথা এদিন অকপটে শোনালো তারা।
আরও পড়ুন- ‘আবহাওয়া’ বুঝতে ভারতের নাকের ডগায় স্টেশন তৈরি বেজিংয়ের
থাম লুয়াং গুহা অভিযানে যাওয়ার কথা পরিবারের লোক জানে কিনা প্রশ্ন করা হলে অনেকেই একটু ইতস্তত বোধ করে। কিন্তু সত্যি কথা বলেই ফেলে সবাই। ১২ জন খুদের মধ্যে অধিকাংশই মিথ্যে কথা বলে গুহায় বেড়াতে গিয়েছিল। এক খুদে বলে, সত্যি কথা বললে বাবা বকতো। আর একজন সবার সামনে স্বীকার করে নেয়, সে দিন ভুল গুহার নাম বলেছিলাম বাবা-মা-কে।
আরও পড়ুন- মোবাইলে ইন্টারনেট চালু করল কিউবা
সাংবাদিকের ফের কৌতুহলী প্রশ্ন, ‘গুহার আটকে পড়ে তোমাদের ভয় করেনি!’ ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলের কোচ জানান, সবাই ভীষণ সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে। তাঁর কথায়, “প্রথম দিন আটকে যাওয়ার পর বাচ্চাদের বোঝাই কালই জল নেমে যাবে। আমরা দ্রুত বেরোতে পারবো।” তবে, সবাই সাঁতার জানতো এ দিন তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট। তারা জানায়, সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছিল অনেকেই সাঁতার জানে না। ফুটবল ম্যাচের শেষে তারা প্রায়ই সাঁতার কাটতো বলে জানায় খুদেরা।
আরও পড়ুন- আমেরিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আন্তজার্তিক আদালতে দ্বারস্থ ইরান
অবশেষে আজই ঘরে ফিরছে শিশুরা। প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন থাম লুয়াং গুহা অভিযান যায় ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলের ১৩ জন সদস্য। এরপর প্রবল বর্ষণের ফলে হড়পা বাণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গুহা। প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীরে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু গুহা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় আটকে পড়ে। ন’দিনের মাথায় প্রথম তাদের খোঁজ পায় দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। এরপর চলে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য। দেশ-বিদেশে সামরিক এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ১৭ মাথায় উদ্ধার হয় সব কটি শিশু।