বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

একটানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জলস্তর বেড়েছে যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমর সহ বেশকয়েকটি নদীর। নতুন করে প্লাবিত জামালপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইন্ধা ও নেত্রকোনা জেলার কিছু এলাকা।

Updated By: Aug 23, 2014, 10:23 AM IST
বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ঢাকা: একটানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জলস্তর বেড়েছে যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমর সহ বেশকয়েকটি নদীর। নতুন করে প্লাবিত জামালপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইন্ধা ও নেত্রকোনা জেলার কিছু এলাকা।

লাগাতার বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়েছে। যমুনার জল বেড়ে যাওয়ায় জামালপুর জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত। জলবন্দি অন্তত সত্তর হাজার মানুষ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ইসলামপুর উপজেলায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার জলবন্দি মানুষের জন্য সরকারি ভাবে দু লক্ষ টাকা ও বারো মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বহু চাষের জমি তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর জল বিপদসীমার তেরো সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোর অন্তত পঞ্চাশটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জল ঢুকেছে। সতেরোশো হেক্টর চাষের জমি ও সাড়ে তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত।  ঘরবাড়ি হারিয়ে প্রায় তিনশো পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন শহরের উঁচু জায়গাগুলিতে। অনেক জায়গায় নলকুপ ডুবে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দশ হাজার মেট্রিক টন চাল ও নগদ দশ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফেও ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চল্লিশটি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি। জেলার প্রায় পনেরো হাজার চাষের ও শাকসবজির জমি প্লাবিত। চিলমারি পয়েন্টে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের জল চার সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার তেরো সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর নদীর জলস্তরও বেড়েছে। জেলা শাসক জানিয়েছেন, দুর্গতদের জন্য একশো পঞ্চাশ মেট্রিকটন চাল ও নগদ দু লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলাতেও যমুনা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। ঘাঘট নদীর জল দু সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ছাব্বিশ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া ন সেন্টিমিটার বেড়েছে ব্রক্ষ্মপুত্রের জল ও পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়েছে করতোয়া নদীর জল। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার চার উপজেলার আঠেরোটি ইউনিয়নের পঁয়তাল্লিশ হাজার মানুষের জন্য নব্বই মেট্রিকটন চাল ও নগদ নব্বই হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

নেত্রোকোণা জেলার খড়িয়াজুরি উপজেলায় টানা বর্ষণে বেশকিছু পাহাড়ি নদীর জলস্তর বেড়েছে। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে চল্লিশটি বাড়ি। দুর্গতদের জন্য তিন মেট্রিক টন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

 

.