Jamat E Islami: কোটা আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের বড় পদক্ষেপ, আজ নিষিদ্ধ হচ্ছে জামাত-ছাত্রশিবির
Jamat E Islami: আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে। এরপর তিনি ওইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানা গেছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। এমনটাই জানিয়েছে দেশের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বুধবারই জামাত-ই-ইসসলামি ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন-কোটা আন্দোলনে হিংসার জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে জামাত-ই-ইসলামি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও জানিয়েছেন জামাতকে নিষিদ্ধ করার পদ্ধতিটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হবে বুধবার। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের বলেন, দেশের ভালোর জন্য জামাতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সোমবার সন্ধেয় এনিয়ে বৈঠক হয় হাসিনার বাসভবন গণভবনে।
কোটা আন্দোলন হিংস্র হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে জামাতের হাত। এমনটাই মনে করছে বাংলাদেশের কোনও কোনও মহল। কারণ আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে যায় জামাতের হাতে। যে কোনও জমায়েতে যদি হাজার লোক জড়ো হয় তাহলে সেখানে দেখা গিয়েছে মাত্র ১০ জন ছাত্রকে। কারণ অধিকাংশ পড়ুয়া চাইতেন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ থেকে সরে আসতে।
আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু জানিয়েছেন, এ সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে, জামায়াত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এটা করেছেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে। এরপর তিনি ওইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ১৯৭২-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল জামায়াত। রাজনৈতিক নানা পট পরিবর্তনের পর দেশের রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় হয় জামায়াত। ১৯৮৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে জামায়াতের কয়েকজন নেতা মন্ত্রিসভায়ও স্থান পান, যা তখন ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এবার ফের নিষিদ্ধ হওয়ার পথে জামাত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)