মার্কিন অভিবাসন নীতির ফ্যাসাদে পড়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি রসায়নবিদ
সৈয়দ আহমেদ জামাল হলেন 'বিহারি বাংলাদেশি'। ১৯৮৭ সালে কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেশে ছেড়েছিলেন। কানসাসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিহারি সম্প্রদায়ের অবস্থা বিপন্ন বাংলাদেশে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফাঁদে পড়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি রসায়নবিদ সৈয়দ আহমেদ জামাল। ৩০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জামাল। তাঁর দুই সন্তান এবং স্ত্রী-ও সে দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। পুলিসের খাতায় জামালের নামে কোনও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড নেই। তবুও, বুধবার সকালে, মেয়েকে স্কুল পৌঁছেয়ে ফেরার পথে বাড়ির ঠিক সামনেই জামালকে গ্রেফতার করেন অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের (আইসিই) আধিকারিকরা।
কেন গ্রেফতার?
আরও পড়ুন- UAE-তে কাজের ভিসা পেতে এবার থেকে বাধ্যতামূলক হল চরিত্রের শংসাপত্র
অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা সুপষ্টভাবে এর জবাব না-দিলেও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ব্যক্তিকে বিপজ্জনক মনে হলে তাকে গ্রেফতার করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আইসিই-র কার্যনির্বাহী প্রধান থমাস হোমান জানিয়েছেন, আদালতের আদেশেই জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১১-তে জামালের ভিসা একবার বাতিল হয়ে যায়। আদালত 'ভলান্টারি ডিপারচার'-র নির্দেশ দিলেও সে সময় দেশ থেকে জামালকে বিতাড়িত করা হয়নি। পরে স্থায়ী বসবাসের ভিসা আবদেন করলে খারজি করে দেয় অভিবাসন আপিল বোর্ড। আদালতের নির্দেশেই জামালকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি অভিবাসন দফতরের।
জীবন সঙ্কটে কেন?
আরও পড়ুন- ভারতের চাপে নয়, কাশ্মীর নিয়ে মুখ বন্ধ করতে আমাকে বন্দি করেছিল পাকিস্তানই
সৈয়দ আহমেদ জামাল হলেন 'বিহারি বাংলাদেশি'। ১৯৮৭ সালে কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেশে ছেড়েছিলেন। কানসাসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিহারি সম্প্রদায়ের অবস্থা বিপন্ন বাংলাদেশে। তা ছাড়া বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ায় কট্টরপন্থীদের হাতে খুন হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে বলে মনে করছে জামালের পরিবার। বাংলাদেশে এমন নজির এর আগেও রয়েছে।
এখন উপায়?
আরও পড়ুন- হংকংয়ের ব্যস্ত শহরে উদ্ধার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের বিশালাকার বোমা
কানসাসের লরেন্সে আহমেদ জামাল বেশ জনপ্রিয় মুখ। জামালের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব থেকে প্রতিবেশীরা জনমত তৈরি করতে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। জামালের ১৪ বছরের ছেলে একটি ভিডিওতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, পরিবারের ভরসা একমাত্র তাদের বাবা। ছোট ভাই দিনরাত কাঁদছে। বোনের সামনে পরীক্ষা মনযোগ করতে পারছে না। মায়ের একটি কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেলে আমার মা মারাই যাবেন...