অসমে চাষিদের জল সরবরাহ বন্ধ করার অভিযোগ! শেষমেশ মুখ খুলল ভুটান সরকার
কালানদীর জল আটকে অসমের কৃষকদের সমস্যায় ফেলেছে ভুটান সরকার। এমনই অভিযোগ ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কালানদীর জল আটকে অসমের কৃষকদের সমস্যায় ফেলেছে ভুটান সরকার। এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ভুটানের বিদেশমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে ভুটানের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, "অসমের কৃষকরা কালানদীর জল খালের মাধ্যমে নিয়ে সেচের কাজে ব্যবহার করত। সেই জল দেওয়া নাকি আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তাতে সমস্যায় পড়েছেন বাকসা এবং উদালগুড়ির কৃষকরা। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ অভিযোগ। গত ২৪ জুন ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এমন খবর। তাই আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই ধরনের সংবাদ ভিত্তিহীন। ভুটান সেচের জল বন্ধ করেনি আর ভবিষ্যতে বন্ধ করার পরিকল্পনাও নেই।"
ভুটানের বিদেশমন্ত্রকের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে অসমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে চাইছে। ভুটানের বিদেশমন্ত্রকের এই বিবৃতির পর অসমের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় টুইট করে জানান, "এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রাকৃতিক কারণেই সেচের জল সরবরাহ বন্ধ হয়েছে।"
কিন্তু বৃহস্পতিবার অসমের বাকসা জেলার কৃষকরাই অভিযোগ করেছিলেন, "কালানদীর জল খাল কেটে সেচের কাজে ব্যবহার করেন তারা। কিন্তু ভুটান কোনভাবেই নিজেদের ভূখন্ডে কৃষকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।" এমনকী, ব্যানার লিখে বিক্ষোভ করেছিলেন তাঁরা। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সমিতিও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। তা হলে কি সব ভুল! নাকি ভুটান এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে মিথ্যে কথা বলছে!
আরও পড়ুন- ৪০ শতাংশ পাইলটের লাইসেন্স ভুয়া! কী করে বিমান চলাচল হয় পাকিস্তানে!
যে খাল দিয়ে জল এনে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয় থাকে স্থানীয় ভাষায় সেটিকে ডং বলে। চিন-ভারতের মাঝে ছোট্ট দেশ ভুটান। ভারতের সাথে ভুটানের বরাবর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কিন্তু ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির ফলে ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গেো সম্পর্কে চির ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনই দাবি ভারতের কূটনৈতিক মহলের।