অন্ধের মতো বিশ্বাস করা উচিত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে: পাকিস্তান

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাস শেখালো কাউকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা উচিত নয়। অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তো একেবারেই করা উচিত নয়। এমন কড়া ভাষাতেই এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন পাক বিদেশ মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মার্কিন দূত নিকি হ্যালে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাস দমনে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করলেই, সাহায্য পাবে পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তানকে 'মিথ্যেবাদী', 'প্রতারক' সম্বোধন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন 'পাকিস্তান শুধু সুবিধাই নিয়েছে, বিনিময়ে কিছুই দেয়নি।' মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্যে আন্তর্জাতিক স্তরে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এরপর পাকিস্তানের তরফেও একের পর এক পাল্টা হুঁশিয়ারি এসেছে।

বুধবার, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আসিফ বলেন, "তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) খুশি করতে পারিনি এর জন্য আমরা আশাহত। কিন্তু আত্মসম্মানের সঙ্গে কখনও সমঝোতা করবো না।"

ট্রাম্পের মন্তব্য প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, "আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার হামলায় রক্তগঙ্গা বয়েছে এ দেশের মাটিতে। এই মাটি দিয়েই মার্কিন সেনারা আগ্নেয়াস্ত্র, যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছে। তাদের যুদ্ধের শরিক হতে গিয়ে কয়েক হাজার পাকিস্তানি আত্মবলিদান দিয়েছেন।" আন্তর্জাতিক স্তরে ট্রাম্পের মন্তব্যকে খণ্ডন করতে গিয়ে যেমন এই সব পরিসংখ্যান তুলে ধরছে পাকিস্তান, তেমনই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে এটিকে ইস্যু করে ফায়দা তুলছেন পাক রাজনীতিকরা, বলা হয়েছে সে কথাও।

প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম টুইটি পাকিস্তানের উদ্দেশে করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছিলেন, 'গত ১৫ বছরে ৩৩ হাজার কোটি ডলার সাহায্য নিয়েছে পাকিস্তান, বিনিময়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পায়নি আমরা।' ট্রাম্পের এই তথ্য যে মিথ্যে, তা প্রমাণ করতে এদিন ভাল মার্কিন অডিট ফার্মকে দিয়ে হিসাব করানোর নিদানও দেন পাক বিদেশমন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ।

সব মিলিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে যে উল্লেখযোগ্যভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।