নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে বাংলাদেশী এক কিশোর প্রাণ বাঁচাল হরিণ শাবকের
নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে একটি হরিণ শাবক। অসহায় বাচ্চাটি বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু খরস্রোতা নদীর কাছে হরিণ শাবকটি বড়ই অসহায়। অনেকেই এই দৃশ্যটি দেখছে, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসার সাহস করছে না।
নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে একটি হরিণ শাবক। অসহায় বাচ্চাটি বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু খরস্রোতা নদীর কাছে হরিণ শাবকটি বড়ই অসহায়। অনেকেই এই দৃশ্যটি দেখছে, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসার সাহস করছে না।
হঠাত্ এক নিতান্তই কিশোর নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে। প্রতক্ষ্যদর্শীদের মধ্যে একজন চিত্রগ্রাহক হাসিবুল ওয়াহাব জানান, "নদীটা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে মনে হচ্ছিল ছেলেটি নিশ্চই ডুবে গেছে। আমার বন্ধুও প্রস্তুত হয়ে পড়ে জলে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য। যদি কোনওভাবে বাঁচানো যায়। কিন্তু সে পেরেছে।``
হ্যাঁ ছেলেটি পেরেছে। জলে ঝাঁপ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে হরিণ শাবকটিকে কোল আঁকড়ে ধরে ভেসে ওঠে সে। তারপর ডাঙায় নিয়ে এসে সেবা শুশ্রুসার করে ছেড়ে দেওয়া হয় শাবকটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নোয়াখালিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন প্রতিবছরই বর্ষায় এরকম অনেক পশুই খড়কুটোর মতো ভেসে চলে যায়।
br/>