Mormon crickets: এরাই দখল নিয়ে নিয়েছে গোটা শহরের! আতঙ্ক চারিদিকে...
Mormon crickets: জুনের শুরু থেকেই নেভাডার বিভিন্ন অংশে হানা দিয়েছে অজস্র ঝিঁঝি পোকা। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝিঁঝি পোকার এই অস্বাভাবিক হামলায় উদ্বিগ্ন, ভীতও। দূর থেকে দেখলে যেন মনে হবে কার্পেট পাতা। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যাবে ব্যাপারটা কী!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দূর থেকে দেখলে যেন মনে হবে কার্পেট পাতা। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যাবে ব্যাপারটা কী! শহরের রাস্তাঘাট ছেয়ে ফেলেছে হাজার-হাজার লক্ষ-লক্ষ পোকা! ঝিঁঝি পোকা! সাধারণ ঝিঁঝি পোকা নয়, এরা মরমন ক্রিকেট নামে পরিচিত। বিশেষ প্রজাতির ঝিঁঝি পোকা এরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম অংশে সাধারণত ঝিঁঝি পোকা দেখা যায় না। কিন্তু বর্তমানে এই অঞ্চলে এই মরমন ঝিঁঝি পোকার বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে যেন। জানা গিয়েছে, এর আগে ২০২২ সালে নেভাদার প্রতিবেশী রাজ্য উটাতেও একই ভাবে ঝিঁঝির দল হানা দিয়েছিল। প্রায় আড়াই কোটি একর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছিল সেবার।
আরও পড়ুন: Hottest June: এত উষ্ণ জুন এর আগে কখনও আসেনি! বিস্মিত বিশ্ব জোড়া আবহাওয়াবিদেরা...
এ বছর জুনের শুরু থেকেই নেভাডার বিভিন্ন অংশে হানা দিয়েছে অজস্র ঝিঁঝি পোকা। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝিঁঝি পোকার এই অস্বাভাবিক হামলায় উদ্বিগ্ন, ভীতও। স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা বিভিন্ন ভিডিয়োতে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে। রাস্তাঘাট, এলাকার সমস্ত ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাঠঘাট -- সব ঢেকে গিয়েছে ঝিঁঝি পোকায়। রাস্তাঘাট দেখলে মনে হচ্ছে, বোধহয় কার্পেট পাতা রয়েছে। ওই ঝিঁঝি পোকার কার্পেটের উপর দিয়েই চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।
কেন এই পোকার প্রাদুর্ভাব হয়?
গবেষকদের মতে, খরার সঙ্গে ঝিঁঝি পোকার সংখ্যাবৃদ্ধির একটা যোগ রয়েছে। ২০২২ সালে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্ক অবস্থা দেখা গিয়েছিল নেভাদায়। সম্ভবত আর্দ্রতার অভাব এবং প্রতিকূল পরিবেশের কারণেই ঝিঁঝি পোকার এই ব্যাপক সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে সেখানে। শুষ্ক আবহাওয়া সম্ভবত ঝিঁঝি পোকার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে দেয়।
নেভাদার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১১ জুন ওই এলাকায় ঝিঁঝি পোকার এই প্রাণান্তকর হামলা শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ঝিঁঝির সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। ঝিঁঝির দাপটে সাংঘাতিক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। অনেকের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ছে পোকাগুলি। ফলে, প্রতিদিনের কাজকর্ম করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমস্যার মুখোমুখি নেভাদার হাসপাতালও। রোগীরা এসে দরজা খুললেই হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে পড়ছে পোকার ঝাঁক। এই অবস্থায় যে কোনও ভাবে হাসপাতালের ভিতরটা অন্তত ঝিঁঝি পোকা-মুক্ত রাখতে চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাতা পরিষ্কার করার যন্ত্র দিয়ে বা ঝাঁটা দিয়ে পোকাগুলি পরিষ্কার করছেন তাঁরা। এমনকী বরফ সরানোর ট্রাক্টর দিয়েও ঝিঁঝিঁ পোকার স্তূপ ঠেলে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে।