শিকলে বাঁধা ১২ জন ক্ষুধার্ত ভাইবোনকে বাঁচাল বছর সাতেরোর এক মেয়ে

ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার পেরিসে। রবিবার সকালে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ১২ টি শিশুকে উদ্ধার করে রিভারসাইড কাউন্টির শেরিফ বিভাগ। সন্তানদের বাবা ডেভিড অ্যালেন টারপিন (৫৭) এবং মা আনা টারপিন (৪৯)-কে কোর্টে তোলা হয়।

Updated By: Jan 16, 2018, 04:49 PM IST
শিকলে বাঁধা ১২ জন ক্ষুধার্ত ভাইবোনকে বাঁচাল বছর সাতেরোর এক মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন: কুসন্তান হলেও কুমাতা কখনও হয় না-মার্কিন মুকুলে এক ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে এই প্রবাদ। বছর সাতেরোর মেয়েটি কোনওক্রমে না-পালালে হয়তো বাঁচত না তার আরও ১২ জন ভাইবোন! কোনওভাবে পালিয়ে পুলিসকে ফোন করে সে। এরপর পুলিস এসে বাড়ির ভিতর ঢুকে যা দেখল, সত্যিই তা অবর্ণনীয়। ঘটনায় হতবাক পুলিসও। একটি বদ্ধ ঘরে ক্ষুধার্ত অবস্থায় হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছে ১২ জন। এরমধ্যে দুই বছরের শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় শিশু নির্যাতন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ১৩ জনের মা-বাবাকে।

আরও পড়ুন- গাড়ি শূন্য উড়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারল দোতলার দেওয়ালে!

ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার পেরিসে। রবিবার সকালে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ১২ টি শিশুকে উদ্ধার করে রিভারসাইড কাউন্টির শেরিফ বিভাগ। সন্তানদের বাবা ডেভিড অ্যালেন টারপিন (৫৭) এবং মা আনা টারপিন (৪৯)-কে কোর্টে তোলা হয়। জামিন পেতে গেলে ৯০ লক্ষ ডলার করে দিতে হবে দু'জনকে নির্দেশ দেয় কোর্ট। তবে পুলিস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলেনি টারপিন দম্পতি।

আরও পড়ুন- জাপানি 'যৌন শিক্ষিকা'র বিয়ের খবর শুনেই মন ভেঙেছে চিনের

পুলিস সূত্রে খবর, ২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে বয়স ১৩ জন ভাইবোনের। এরমধ্যে ৭ জন সাবালক বলে জানিয়েছে পুলিস। সূত্রে আরও খবর, মেয়েটি ওখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে থাকা মোবাইলে ফোন করে পুলিসকে। পুলিস জানিয়েছে, প্রত্যেকজনই অপুষ্টিতে ভুগছে। বেশ কয়েকদিন তাদের খেতে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন নির্মম অত্যাচার করলেন টারপিন দম্পতি? এনিয়ে কোনও মুখ খোলেননি দু'জনেই।

আরও পড়ুন- 'সেক্সোম্যানিয়াক'! ঘুমের ঘোরে কয়েকশোবার ধর্ষণ করায় অভিযুক্ত তরুণ

ইতিমধ্যেই নাবালক ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের রাখা হয়েছে বিভিন্ন হোমে। তবে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন ডেভিড এবং আনার মধ্যে কখনও অস্বাভাবিক সম্পর্ক দেখা যায়নি। তবে, একথা মানছেন ওদের ছেলেমেয়েরা বাইরে তেমন একটা বেরতো না। এবং টারপিনদের নিজস্ব স্কুলেই পড়াশুনা করত তাঁদের সন্তানরা। ওই স্কুলে ডেভিড প্রিন্সিপল ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

.