China-র পর্দাফাঁস, Corona ছড়ানোর খবর প্রকাশ করা সাংবাদিকের কারাদণ্ড
৩৭ বছর বয়সী ঝাং ঝানকে বিভিন্ন অছিলায় বিরক্ত করছিল চিনের সরকার। বারবার তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছিল বলেও অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- চিনের উহান শহর থেকেই সবার আগে করোনা ছড়ানো শুরু করেছিল। এমনটাই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই যুক্তির সাপেক্ষে কারণও ছিল। উহানের যে বাজারে বিভিন্ন প্রাণীর মাংস পাওয়া যায়, সেখানেই করোনার অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল সবার আগে। তবে বারবারই চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা বারবার জানিয়েছে, করোনা ছড়ানোর পর থেকেই তথ্য গোপন করা শুরু করেছিল চিন। সময় মতো সব তথ্য সারা বিশ্বকে জানালে হয়তো মহামারী এমন ব্যাপক আকার ধারণ করত না। এদিকে, চিনের একাধিক সংবাদমাধ্যমও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিল। আর বারবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তাই রাজরোষের শিকারও হয়েছেন।
এবার জানা যাচ্ছে, চিনের এক সাংবাদিককে করোনা ছড়ানোর খবর প্রকাশ করায় কারাদণ্ড দিয়েছে সরকার। ঝাং ঝান নামের ওই মহিলা সাংবাদিক প্রথমবার উহান থেকে করোনা ছড়ানোর খবর প্রকাশ করেছিলেন। তার পর থেকেই তার দিকে নজর রেখেছিল প্রশাসন। চিনের এক আদালত জানিয়েছে, ঝাং ঝান গুজব ছড়িয়েছিলেন। এমনকী তাঁর জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তাই তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঝাং ঝানের এই শাস্তির পর চিনা সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্রশাসনের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ঝাং ঝান লাইভ রিপোর্টিং করেছিল। সেখানে গুজব ছড়ানোর প্রশ্নই নেই। যা ঘটেছিল, সেই সাংবাদিক তাই তুলে ধরেছিলেন।
আরও পড়়ুন- নতুন বছরের প্রথম দিনেই নেপাল পার্লামেন্টের অধিবেশন, ঘোষণা প্রেসিডেন্টের
৩৭ বছর বয়সী ঝাং ঝানকে বিভিন্ন অছিলায় বিরক্ত করছিল চিনের সরকার। বারবার তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছিল বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে ঝাং জুন মাসে অনশনেও বসেছিলেন। চিনে এমনিতেই সরকারের বিরোধিতা করলে সাংবাদিকদের শাস্তির মুখে পড়াটা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী চিনের প্রশাসন নিজেদের এজেন্ডা প্রচার ও প্রসার করার জন্য সংবাদমাধ্যমের উপর জোর দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।