Super Human: টানা ১০০ দিন জলের তলায় থেকে 'সুপার হিউম্যান' হয়ে উঠবেন এই অধ্যাপক! কী ভাবে?
Professor Joseph Dituri: একাধারে নেভি ডাইভার, অধ্যাপক, গবেষকও। ২০১২ সালে মার্কিন নৌ দফতর থেকে অবসর নিয়েছেন। তার পর একটা বিরল পরীক্ষায় নেমেছেন। টানা জলের নীচে বসবাস করার পরীক্ষা। কঠিন এই পরীক্ষায় কি তিনি সফল হবেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি একাধারে নেভি ডাইভার, আবার অধ্যাপক, পাশাপাশি গবেষকও। বছর ৫৫-র মানুষ এই জোসেফ দিতুরি এখন এক অদ্ভূত পরীক্ষায় মেতেছেন। তিনি এখন টানা জলের তলায় থাকছেন। এবং থাকতে থাকতে ৩৫ দিন হয়ে গেল, তাঁর ১০০ দিন থাকার কথা। এর মধ্যে তিনি রেকর্ডও করবেন। আসলে ভাঙবেন। টানা ৭৩ দিন জলের তলায় থাকার একটা রেকর্ড হয়ে আছে। এটা তিনি ভাঙবেন।
আরও পড়ুন: Bangladesh Fire: ভয়াবহ আগুনে ৪০০০ দোকান পুড়ে ছাই! ঘন কালো ধোঁয়া আর কান্নায় ভারী এলাকার বাতাস...
২০১২ সালে মার্কিন নৌ দফতর থেকে অবসর নিয়েছেন জোসেফ দিতুরি। ১ মার্চ এই পরীক্ষা শুরু করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৩০ দিন পেরিয়ে এসেছেন। দিতুরির দেখাশোনা করছে সাইকোসোশ্যাল, সাইকোলজিক্যাল এবং মেডিক্যাল টিম।
আরও পড়ুন: Sumatra Earthquake: তীব্র মাত্রার ভূকম্পে দুলে উঠল মাটি! আফটারশকের আশঙ্কার মধ্যেই সুনামি কি হবে?
১০০ স্কোয়ার ফুট একটি জায়গায় প্রায় ৩০ ফুট জলের নীচে আছেন জোসেফ দিতুরি। তিনি এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখছেন, চাপ অত্যন্ত বেশি হলে তা কী ভাবে হ্যান্ডেল করে হিউমান বডি। তিনি এই পরীক্ষাটা করছেন ফ্লোরিডার আন্ডারসি লজ কি লার্গো-তে। তবে একটি মেডিক্যাল টিম রয়েছে তাঁর সঙ্গে, তাঁর দেখভাল করছে।
বিষয়টি নিয়ে কী বলছেন দিতুরি? দিতুরি জানাচ্ছেন, মানবশরীর এত দীর্ঘ সময় জলের তলায় থাকতে পারে না। এটা জেনেই আমি এই পরীক্ষায় নেমেছি। এই জলের তলায় থাকার ফলে আমার শরীরের উপর যে-যে প্রভাব পড়বে সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে এটা ঠিক যে, এর ফলে আমার শরীর অনেক উন্নত হবে।
এর ফলে কী হবে?
সব থেকে বড় কথা হল, বয়সকে লুকিয়ে ফেলা যাবে। জলের চাপ নিয়ে জলের তলায় থাকার সুফল অ্যান্টি-এজিংয়ের কৌশল হিসেবে কাজ করবে। তা ছাড়া মস্তিষ্কের কিছু বিরল ধরনের রোগের ক্ষেত্রেও এই থেরাপি বিশেষ কার্যকরী বলে জেনেছেন তিনি।