Suella Braverman: পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা, কেন এই সিদ্ধান্ত?
Suella Braverman: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক পদত্যাগপত্রে সুয়েল্লা বলেন, ট্রাসের সরকার যে পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। সরকারকে এক বিশৃঙ্খল সময় সামাল দিয়ে এগোতে হচ্ছে। সুয়েল্লার জায়গায় প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুরু থেকেই লিজ ট্রাসের সরকার নানা সংকটের মুখোমুখি। এবার সরে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে টালমাটাল অর্থনীতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটেনের সরকার। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যানের পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের উপর চাপ আরও বাড়াল। সুয়েল্লার জায়গায় গ্রান্ট শ্যাপসকে নিয়োগ করে লিজ ট্রাস অবশ্য পরিস্থিতি অনুকূলে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আশ্চর্যের হল, এই শ্যাপস আবার ছিলেন ঋষি সুনাকের সমর্থক।
কী ঘটেছিল যাতে সরতে হল সুয়েল্লাকে?
আরও পড়ুন: Sweden: ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টই পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে! সব চেয়ে কম বয়সী মন্ত্রীও...
তাঁর এক সহকর্মীকে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে বিভাগীয় নথি পাঠানোর পরই বিতর্ক তৈরি হয়। আর তারই জেরে পদত্যাগ করার ঘোষণা করেন সুয়েল্লা। ওই ঘটনাকে তিনি প্রযুক্তিগত বিধি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক পদত্যাগপত্রে সুয়েল্লা বলেন, ট্রাসের সরকার যে পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। সরকারকে বিশৃঙ্খল সময় সামাল দিতে হচ্ছে। সুয়েল্লার জায়গায় প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপসকে নিয়োগ করা হয়েছে।
সুয়েল্লা বলেন, আমি ভুল করেছি। আমি তার দায় নিচ্ছি এবং পদত্যাগ করছি। সদ্য পদত্যাগী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টের একজন সহকর্মীকে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি বিভাগীয় কিছু নথি পাঠিয়ে ফেলেছিলেন। যদিও এটা প্রযুক্তিগত বিধি লঙ্ঘন। তবুও এ জন্য আমার সরে দাঁড়ানোই ঠিক হবে।
জবাবে সুয়েল্লাকে লেখা চিঠিতে ট্রাস বলেছেন, মন্ত্রিসভার গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানানো গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আপনার পদত্যাগপত্র আমি গ্রহণ করেছি। আপনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রতি সম্মান জানাই। সরকারি আচরণবিধি সমুন্নত রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং মন্ত্রিসভার গোপনীয়তার প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে এই নিয়ে দুজন মন্ত্রী সরকার ছাড়লেন। অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ওঠা বিতর্ক সামলাতেই অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারতেংকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ট্রাস। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কোণঠাসা হয়ে পড়া ট্রাসের উপর বেশি চাপ বাড়িয়েছে সুয়েল্লার পদত্যাগই। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রাস।