US President Election 2024: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নয়, এই ৬ কারণে কমলাকে দুরমুশ করতে পারেন ট্রাম্প
US President Election 2024: করোনা মহামারির পর যুক্তরাষ্ট্রে গত শতকের সত্তরের দশকের পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। যেটি ট্রাম্পকে এগিয়ে রাখছে। মূল্যস্ফীতিকে অস্ত্র করে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রশাসনকে তুলাধোনা করছেন তিনি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ডেনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এমনটাই মনে করছে কয়েকটি সমীক্ষা। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট গ্রহণের আগে রিপাবলিকান ট্রাম্প বা ডেমোক্রাট কমলা হ্যারিস-কাউকেই এগিয়ে রাখছে না কোনও সমীক্ষা। তবে কোনও কোনও সংবাদমাধ্য়ম বলছে এই ৫টি কারণের জন্য জিতে যেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন-আমেরিকার ভোটে কেন বাংলায় ছাপা হচ্ছে ব্যালট? জানুন আসল রহস্য...
কড়া অভিবাসী নীতি
অর্থনীতি ছাড়াও মার্কিন নির্বাচনে আবেগতাড়িত কোনো একটি বিষয় ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডেমোক্র্যাটদের আশা, এটা হবে গর্ভপাত। তবে ট্রাম্প অভিবাসনের ওপরই বাজি ধরেছেন। বাইডেনের আমলে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এর প্রভাব পড়েছে সীমান্তবর্তী ছাড়া দূরের অঙ্গরাজ্যগুলোতেও। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, অভিবাসন ও অভিবাসী সংকট সমাধানে কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা বেশির ভাগ আমেরিকানের। এ ছাড়া বিগত নির্বাচনগুলোর চেয়ে লাতিনোদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
অর্থনীতি
বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এক চতুর্থাংশ আমেরিকান মনে করেন, অর্থনীতি যে পথে চলছে, তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। অর্থাৎ বেশির ভাগ আমেরিকান অর্থনীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে সেটি মনে করেন মাত্র ৩২ শতাংশ মার্কিনি। বিপরীতে ৬২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন দেশটির অর্থনীতির খারাপ হয়েছে। অন্যদিকে, দুই তৃতীয়াংশ আমেরিকান অর্থনীতির ভবিষ্যৎ ভালো দেখছেন না। কমলা হ্যারিস অবশ্য পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তিনি অজনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের থেকে দূরত্ব রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। দেশটির ২৬ শতাংশ মানুষ বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। তবে ৭২ শতাংশ নাগরিকই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট।
মূল্যস্ফীতি
করোনা মহামারির পর যুক্তরাষ্ট্রে গত শতকের সত্তরের দশকের পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। যেটি ট্রাম্পকে এগিয়ে রাখছে। মূল্যস্ফীতিকে অস্ত্র করে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রশাসনকে তুলাধোনা করছেন তিনি। এতে করে ট্রাম্পের সামনে ভোটারদের এই প্রশ্ন ছুড়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে যে, চার বছর আগে আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তার চেয়ে কি তোমরা এখন ভালো আছো? শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়ে উঠেছে একটি ফল নির্ধারক বিষয়। এ কারণে অনেক দেশে সরকার বদল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদেরও একটি বড় অংশও পরিবর্তনের জন্য মরিয়া।
বিরোধী আসনে ট্রাম্প
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের জন্য প্রধান ইস্যু অর্থনীতি। বেকারত্বের হার কম আর পুঁজিবাজারে উল্লম্ফন চললেও বেশির ভাগ আমেরিকান নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে ধুঁকছেন। মার্কিনিরা বলছেন, প্রতিদিন তাদেরকে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এই বিষয়টিকেই ইস্যু করছেন ট্রাম্প।
পিছিয়েপড়া মানুষের ভোট
ডেনাল্ড ট্রাম্প ভোট চাইছেন উপেক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। এসব জনগোষ্ঠীই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন এনেছেন। তারা ইউনিয়ন ওয়ার্কার্সদের মতো দীর্ঘদিনের ডেমোক্র্যাট শিবিরকে রিপাবলিকান শিবিরে পরিণত করেছেন। তা ছাড়া ট্রাম্প কর ও শুল্ক কমিয়ে আমেরিকান শিল্পের সুরক্ষা দেয়ার কথা বলছেন। ট্রাম্প যদি সুইং স্টেটসগুলোর গ্রামীণ এলাকা ও শহরতলির ভোটারদের ভোট দিতে যদি উৎসাহী করতে পারেন, তাহলে মধ্যপন্থী ও ডিগ্রিধারী ভোটারদের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকাটা পূরণ করতে পারবেন।
ট্রাম্পের স্ট্রং ম্যান ভাবমূর্তি
ট্রাম্প নিন্দুকরা মনে করেন, স্বৈরশাসকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করেছেন। ট্রাম্প এই কথা ফলাও করে প্রচার করেন যে, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিশ্বে বড় কোনো যুদ্ধ বাধেনি। যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে শত শতকোটি ডলারের অর্থসহায়তা ও অস্ত্র দিচ্ছে, এ নিয়ে অনেক আমেরিকান ক্ষুব্ধ। তারা মনে করেন, বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হয়ে গেছে। ভোটারদের একটা বড় অংশ মনে করেন, কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প শক্তিশালী নেতা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)