ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও পিছু হটলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
এ ঘটনায় মার্কিন কংগ্রেস নেতাদের একটি গ্রুপ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করে। সূত্রে খবর, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এক কংগ্রেস নেতা জানান, প্রেসিডেন্ট ও তাঁর প্রশাসনের যুদ্ধে যাওয়ার মানসিকতা থাকা উচিত নয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: পালটা আক্রমণের নির্দেশ দিয়েও পিছু হটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেভি আরকিউ গ্লোবাল হক’ নামে একটি নজরদারি ড্রোন নামায় ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ওই ড্রোন নামানো হয়েছে বলে তেহেরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ইরানের এই পদক্ষেপকে ‘বড় ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরই পালটা আক্রমণের নির্দেশ দেন তিনি। এমনটাই খবর ছিল হোয়াইট হাউজ সূত্রে। তবে, তত্ক্ষণাত্ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কেন পিছু হটলেন এ নিয়ে হোয়াইট হাউজ মুখে কুলুপ এঁটেছে।
এ ঘটনায় মার্কিন কংগ্রেস নেতাদের একটি গ্রুপ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করে। সূত্রে খবর, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এক কংগ্রেস নেতা জানান, প্রেসিডেন্ট ও তাঁর প্রশাসনের যুদ্ধে যাওয়ার মানসিকতা থাকা উচিত নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে তাঁরা সেই পথেই হাঁটতে চাইছেন। আলোচনাই একমাত্র পথ। কোনও দেশই যুদ্ধ চায় না। তিনি ২০০৩ সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ট্রাম্পের।
আরও পড়ুন- রবীন্দ্রনাথের লেখাকে খলিল জিব্রানের নামে টুইট! ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার ইমরান খান
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-র অভিযোগ, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল ওই নজরদারি ড্রোনটি। সে অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কিন সেনা। তাদের তরফে জানানো হয়, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ওড়ছিল। হরমুজ প্রণালীতে বিধ্বস্ত তেলের ট্যাঙ্কের উপর ড্রোনটি নজরদারি চালাচ্ছিল বলে দাবি আমেরিকার।
সম্প্রতি, ওই প্রণালীতে একাধিক তেলের ট্যাঙ্কে হামলা চালানোর অভিযোগ ইরানের বিরুদ্ধে ওঠে। ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে তলানিতে ঠেকেছে। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে এসে ইরানের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।