The Last Road: এখানেই পৃথিবীর রাস্তা শেষ! খবরদার একা যাবেন না এ পথে
শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ২৬ থেকে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ এক পথ। আলো-অন্ধকারে মোড়া। বরফে ঢাকা। দীর্ঘ নিঃসঙ্গ ভয়বিহ্বল এক পথ। সত্যি কথা বলতে কী, এখানে 'পথ' শব্দটিই আর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কারণ, পথ নেই এখানে। পৃথিবীর রাস্তা এখানে শেষ। এরপর আর যাওয়া যাবে না।
কাগজে-কলমে যাকে 'দ্য লাস্ট রোড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড' বলে তার পোশাকি নাম 'ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে'। এই রাস্তাটি নরওয়েতে অবস্থিত। এটি উত্তরমেরুর সঙ্গে নরওয়েকে যুক্ত করেছে। এই পথ চিরবরফে ঢাকা। এমনিতেই নরওয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। এক্সপ্লোরার মাত্রই এখানে যেতে চান। ফলে সেখানে এরকম একটি পথে অভিযাত্রীমাত্রই যেতে চাইবে। তবে এ পথে কারও একা যাওয়া নিষেধ। পথ হারানোর সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ার আশঙ্কাও।
E 69 Highway মোট পাঁচটি টানেলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ১২৯ কিমি দীর্ঘ এক হাইওয়ের অংশ এটি। ১৪ কিমির এই অংশটি চিররহস্যে মোড়া। এ পথের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। ছবির মতো ল্যান্ডস্কেপ। শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ২৬ থেকে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এমনিতেই এখানে বছরের ছ'মাস দিন ছ'মাস রাত্রি।
সারা পৃথিবী থেকে মানুষ নর্থপোল দেখতে আসেন। এ যেন এক ভিন্নতর জগৎ। অস্তমান সূর্য এবং মেরুজ্যোতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন মানুষ। গাঢ় নীল আকাশে সবুজ এবং গোলাপি আলোর খেলা! আর এসবই দেখা যেতে পারে এই ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে ধরলে। কিন্তু মুশকিল হল, এখানেই পৃথিবীর শেষ। মানে, এরপর আর রাস্তা নেই। অর্থাৎ কিনা পৃথিবীর শেষ রাস্তা!
আরও পড়ুন: Leonid Meteor Shower: ১৭ নভেম্বর আকাশে উড়বে সিংহরাশির আগুনপাখি!