সন্ত্রাসের নতুন কৌশল জনপ্রিয় ফুড ডেস্টিনেশন, কিন্তু কেন?
মুম্বই, সিডনি, প্যারিস, পুণে, ঢাকা। জঙ্গি নিশানায় আবার একটি ক্যাফে। ধর্মস্থান, বাজার, দূতাবাস, সরকারি দফতর নয়। ক্যাফে। কেন? কৌশল বদলেছে সন্ত্রাস। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়েব ডেস্ক: মুম্বই, সিডনি, প্যারিস, পুণে, ঢাকা। জঙ্গি নিশানায় আবার একটি ক্যাফে। ধর্মস্থান, বাজার, দূতাবাস, সরকারি দফতর নয়। ক্যাফে। কেন? কৌশল বদলেছে সন্ত্রাস। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনপ্রিয় ফুড ডেস্টিনেশনও হতে পারে নিশানা। সন্ত্রাসের নতুন এই কৌশল শিখিয়েছিল ইন্ডিয়ার মুজাহিদিন। ২০০৭-র ২৫ অগাস্ট হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণের অন্যতম টার্গেট ছিল কোটির গোকুল চাট। ২০০৮-এ মুম্বই হামলায় লিওপোল্ড ক্যাফেতে গুলিবৃষ্টি করে কসাভের সঙ্গীরা। ২০১০-এ ভ্যালেন্টাইন ডে-র আগের সন্ধেয় পুণের জার্মান বেকারিতে বম্ব রেখেছিল আইএম প্রধান ইয়াসিন মালিক। ২০১৪-র ডিসেম্বরে সিডনির লিন্ডট ক্যাফেতে ক্রেতা-কর্মী মিলিয়ে প্রায় ২০জনকে পণবন্দি করে এক জঙ্গি। ২০১৫-য় প্যারিসের জঙ্গি হামলায় নিশানায় জনপ্রিয় ক্যাফেকেও নিশানা করে আইসিস।
আরও পড়ুন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে বিশ্বের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই করছে আইসিস
বেছে বেছে ক্যাফেগুলিকে নিশানা করার পিছনে রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জনপ্রিয় ক্যাফেতে হামলা ফলপ্রসূ। এমন ক্যাফেকে টার্গেট হিসেবে বেছে নেওয়া হয় যেখানে বিদেশিদের যাতায়াত রয়েছে। ক্যাফেতে অরক্ষিত অবস্থায় একসঙ্গে অনেক মানুষকে পাওয়া যায়। কোনও নিরাপত্তা না থাকায় ক্যাফেতে ঢোকা ও বেরোনো সহজ।
জঙ্গিদের এই নতুন ক্যাফে ফর্মুলায় ঘোর সমস্যায় পড়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গি হামলা থেকে বাঁচতে গোটা শহরকেই কি মুড়ে ফেলতে হবে ঘেরাটোপে? তা সম্ভব নয়। তাই জঙ্গিদের নিশানা বুঝতে গোয়েন্দা তথ্যেই ভরসা রাখা হচ্ছে।