লকডাউন কার্যকর করতে এই গ্রামে পাহারা দিচ্ছে 'ভূতেরা', বাইরে বেরলেই তাড়া
পুলিসের লাঠি থেকে কড়জোড়ে আবেদন কোনও কিছুতেই মিলছে না ফল। অগত্যা ভরসা এখন 'তেনাদের' ওপর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে মৃত্যু মিছিল চালাচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। লকডাউনই করোনা মোকাবিলায় প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু অনেকেই যে তা মেনে চলছেন না তা বলাই বাহুল্য! পুলিসের লাঠি থেকে কড়জোড়ে আবেদন কোনও কিছুতেই মিলছে না ফল। অগত্যা ভরসা এখন 'তেনাদের' ওপর।
ইন্দোনেশিয়ার কেপু গ্রামে রাত হলেই রাস্তায় নামছে অশরীরীরা। আর সেই ভয়ে গৃহবন্দি থাকছে জাভা আইল্যান্ডের মানুষেরা। তবে আসলে এই অশরীরীদের শরীর আছে। কারণ এঁরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক, যারা লকডাউন নিশ্চিত করতে সাদা চাদরে নিজেদের ঢেকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রামের যুবক দলের প্রধান অঞ্জর বলেছেন, "আমরা কিছু আলাদা এবং যেটা দিয়ে কাজ হবে সেরকম কিছু করতে চেয়েছিলাম। 'পোকোং'দের দিয়ে কাজ হয়েছে।" ইন্দোনেশিয়ার মানুষেরা সাদা এই ভুতেদের স্থানীয় ভাষায় পোকোং বলে।
মৃত্যুর হারে চিনের পরে এশিয়ায় দ্বিতীয় এই দেশ। করোনা মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো লকডাউন জারি করেছেন। কিন্তু তার পরেও যায়নি গতিবিধিতে লাগাম টানা। তাই পুলিসের সঙ্গে কথা বলে এই অভিনব পদ্ধতি এনেছেন কেপু গ্রামের যুবকরা।
গ্রাম প্রধান প্রিয়দি বলেছেন, "গ্রামবাসীরা এই রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত হয়ে উঠতে পারেননি। তাই তাঁরা সাধারণ জীবন চালাতে চাইছেন।"
ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭৩ জনের। গবেষকরা বলছেন লকডাউন না মানলে এ দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটা হু হু করে বাড়বে।
কেপু গ্রামের সাধারণ গ্রামবাসী কার্ণো সুপাদমো বলেছেন, "যেদিন থেকে রাস্তায় পোকোংরা বেরিয়েছে, রাস্তায় যেতে ভয় পাচ্ছে মানুষ।" ঠিক যেন বাইরে করোনা, বাইরে পোকোং, এর থেকে ঘরেই ভাল আছি বাপু।
আরও পড়ুন: প্রবাসে ফাঁপরে পড়ছেন ভারতীয়রা! সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্ত ৫৯ জন ভারতীয়